ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

বিএনপিতে প্রতিনিয়তই বাড়ছে পদত্যাগের সংখ্যা

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:৫৬, ১৫ মে ২০২১  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

বিএনপি থেকে পদত্যাগকারী নেতার সংখ্যা প্রতিনিয়তই বাড়ছে। এরই ধারাবাহিকতায় সারাদেশে বিগত দুই বছরে বিএনপি থেকে অন্তত ২০ হাজার নেতাকর্মী পদত্যাগ করেছেন।

এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোরশেদ খান এবং মাহবুবুর রহমান। এছাড়া জোট থেকে ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থের দল বিজেপিও বিদায় নিয়েছে।

অপরদিকে সিলেটের মেয়র আরিফুল হকসহ সেখানকার কয়েকজন নেতা বিএনপি ছাড়ার হুমকি দিচ্ছেন। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, কেন বিএনপি থেকে পদত্যাগ করছেন নেতাকর্মীরা।

এ প্রসঙ্গে বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বিষয়গুলো প্রমাণ করে বিএনপির নেতাকর্মীরা স্বার্থের জন্য দল করতো। বর্তমানে তাদের দল করার প্রয়োজন নেই, কারণ এ দল ১৪ বছর যাবৎ ক্ষমতার বাইরে। তারা টেন্ডারবাজি আর ঘুষ খেয়ে তাদের সংসার চালাতে ব্যর্থ হচ্ছেন বিধায় দলত্যাগ করছেন।

তিনি আরো বলেন, তবে দলের ভেতর অভ্যন্তরীণ কোন্দলকে উপেক্ষা করা যাবে না। অনেক সিনিয়র নেতা দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের শিকার হয়েও দল ছেড়েছেন।

বিএনপির নেতারা মনে করছেন, তাদের দলের জন্য সময় এখন কঠিন থেকে কঠিনতর হচ্ছে। ফলে এ মুহূর্তে কারো পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হচ্ছে না এবং তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক কোনো ব্যবস্থাও নেয়া হবে না।

অন্যদিকে বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে কারো পদত্যাগের সত্যতা স্বীকার করছে না। বরং তারা বলছে, দু-একজন দল থেকে বেরিয়ে গেলে কোনো ক্ষতি হবে না, যা মিথ্যাচার বলেই বিবেচিত হচ্ছে।

নেতাদের এমন কৌশলী অবস্থান ও মিথ্যাচার নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও কিছুটা হতভম্ব। তারা বলছেন, কৌশল করেও কৌশলগত অবস্থান টিকিয়ে রাখতে প্রতিনিয়ত ব্যর্থ হচ্ছে বিএনপি। এর ফলে তারা রাজনৈতিকভাবে মৃত্যুবরণ করছে।

এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, নেতাদের পদত্যাগের সত্যতাকে আড়াল করছে দলটি। আর আড়াল করতে গিয়ে তারা পদত্যাগের সত্যতা শিকার করছে না। আবার কেউ কেউ বলছেন, নেতাদের পদত্যাগে কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে না, যা মিথ্যাচার বলেই বিবেচিত হচ্ছে। এর প্রভাবে দলের ভাবমূর্তি চরম সংকটে পড়েছে।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়