ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ১৪ ১৪৩০

বিশ্বে মর্যাদাশীল দেশ হিসেবে জায়গা করে নেবে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:২৯, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ পেয়েছে। সেই সুখবর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের ফলে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ একটি প্রত্যয়ী ও মর্যাদাশীল দেশে হিসেবে জায়গা করে নেবে।

স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য বাংলাদেশের জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ পাওয়া উপলক্ষে শনিবার বিকেলে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ভার্চুয়ালি সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে প্রায় এক বছর পর আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। তবু সরাসরি নয়, ভার্চুয়ালি। আজ অবশ্য আমি আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি, বাংলাদেশের একটি মহৎ ও গৌরবোজ্জ্বল অর্জনের সংবাদ দেওয়ার জন্য। ‘বাংলাদেশ গতকাল স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছে। আমরা উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার পূর্ণ যোগ্যতা অর্জন করেছি।’

তিনি বলেন, আমাদের এই উত্তরণ এমন একটা সময়ে ঘটল, যখন আমরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করছি; আমরা মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের দ্বারপ্রান্তে। বাংলাদেশের জন্য এ উত্তরণ এক ঐতিহাসিক ঘটনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ কৃতিত্ব এ দেশের আপামর জনসাধারণের। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা এই মাইলফলক অর্জন করতে পেরেছি। তিনি বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের ফলে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ একটি প্রত্যয়ী ও মর্যাদাশীল দেশে হিসেবে জায়গা করে নেবে। আমাদের এ অর্জনকে সসংহত এবং টেকসই করতে হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন, ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চমধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়া এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের জন্য এটি একটি বিশেষ ধাপ।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমরা অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা নিয়েছি। টেকসই উত্তরণের লক্ষ্যে বিভিন্ন কৌশল এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, অ্যালিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলি নদীর তলদেশে টানেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, মহেশখালী-মাতারবাড়ি সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্পসহ বেশকিছু মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। এগুলোর কতগুলো এ বছর বা আগামী বছরের শুরুতে চালু হবে।

এছাড়া সারাদেশে ১০০ বিশেষ অর্থনৈথিক অঞ্চল, দুই ডজনের বেশি হাইটেক পার্ক এবং আইটি ভিলেজ নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলছে। এসব বাস্তবায়ন হলে কর্মসংস্থান তৈরিসহ আমাদের অর্থনীতিতে আরও গতি সঞ্চার হবে, বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়