ঢাকা, বুধবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

বৈশ্বিক উষ্ণতা দ্বিগুণের আশঙ্কায় সতর্ক করেছে জাতিসংঘ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:০২, ২৭ অক্টোবর ২০২১  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

যে হারে গ্রিনহাউজ গ্যাসের মাত্রা বাড়ছে তাতে ২০১৫ সালে প্যারিস সম্মেলনে বৈশ্বিক উষ্ণতা কমানোর যে লক্ষ্যমাত্রা ঠিক হয়েছিল, তা চলতি দশকেই বেড়ে দ্বিগুণ হতে পারে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ।

এর মধ্যেই গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জলবায়ু সম্মেলনে পরিবেশ বাঁচাতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিতে ব্যতিক্রমী আন্দোলনে মুখর ফ্রান্স, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। এদিকে, ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণের মাত্রা শূণ্যে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।

গেল বছর বিশ্বে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে গেছে এক দশকের গড় হারের চেয়েও বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এমন প্রতিবেদন প্রকাশের পরপরই নতুন সতর্কবার্তা দিয়েছে জাতিসংঘ। ২০২০ সালে বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে পৌঁছেছে ৪১৩.২ পিপিএমে। এই হারে যদি গ্রিনহাউজ গ্যাসের মাত্রা বাড়তে থাকে তবে ২০১৫ সালে প্যারিস সম্মেলনে বৈশ্বিক উষ্ণতা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে বেঁধে রাখার যে লক্ষ্যমাত্রা ঠিক হয়েছিল, চলতি দশকেই সেটি বেড়ে ২ দশমিক সাত ডিগ্রি হতে পারে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ।

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন,  গ্লাসগোতে জলবায়ু সম্মেলন হতে এক সপ্তাহেরও কম সময় আছে, সংকট মোকাবিলায় আরো যা যা করণীয় তা নিয়েই কাজ করছি আমরা। তবে ডব্লিওএমওর রিপোর্ট অনুযায়ী এভাবে গ্রিন হাউজ গ্যাসের মাত্রা বাড়তে থাকলে কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে হবে।

এদিকে, গ্লাসগোতে হতে যাওয়া জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৬ এ পরিবেশ বাঁচাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, স্পেনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ। বিশ্বজুড়ে জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের মুখে পড়তে থাকায় সংকট মোকাবিলার দাবি জানান তারা। এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে সবাইকেই এর মাসুল দিতে হতে পারে বলে উদ্বেগ জানিয়েছেন পরিবেশবাদিরাও।

তাদের মতে, এখনই পদক্ষেপ না নিলে পরিবেশে মারাত্মক বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। আগামী দশ বছর পর কী হতে পারে সে কথা মাথায় রেখেই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

এদিকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জীবাশ্ম জ্বালানির রপ্তানি দেশের তালিকায় থাকা অন্যতম শীর্ষ দেশ অস্ট্রেলিয়া ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণের মাত্রা শূন্যে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে এমন প্রতিশ্রুতি দিলেও জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার বন্ধে কোনো পরিকল্পনা না জানানোয় সমালোচনার মুখে পড়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়