যারা বেশি খায় তাদের সম্পর্কে ইসলাম কি বলে?
ধর্ম ডেস্ক
যারা বেশি খায় তাদের সম্পর্কে ইসলাম কি বলে?
আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, দুনিয়াতে যেসব লোক ভূরিভোজ করে, তারাই হবে কিয়ামতের দিন অধিক ক্ষুধার্ত। (ইবনে মাজাহ, হাদিস :৩৩৫১)
অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, ‘কাফির সাত আঁতে আহার করে অর্থাৎ বেশি পরিমাণ খায়, আর মুমিন এক আঁতে আহার করে অর্থাৎ কম খায়।’ (বুখারি, হাদিস : ৫৩৯৩)
রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, পেটের এক-তৃতীয়াংশ আহারের জন্য, এক-তৃতীয়াংশ পানির জন্য এক-তৃতীয়াংশ শ্বাসপ্রশ্বাসের জন্য (মযাকুল আরেফিন)।
আবু হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘দুই জনের খাবার তিন জনের জন্য এবং তিন জনের খাবার চার জনের জন্য যথেষ্ট।’
প্রখ্যাত দার্শনিক ইমাম গাজালি (রহ.) বলেন, ধীরে ধীরে কম খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা প্রয়োজন। যে ব্যক্তি অধিক খাওয়ায় অভ্যস্ত হয়ে পড়ে, সে যদি হঠাৎ করে খাবার কমিয়ে দেয় তাহলে তা তার সহ্য হবে না। দুর্বলতা সৃষ্টি হবে ও কষ্ট বৃদ্ধি পাবে।
হজরত হাসান বসরি (র.) বলেন, মুসলমানের দৃষ্টান্ত হলো বকরি ছানার ন্যায় যার জন্য এক মুষ্টি পুরাতন খেজুর, এক মুষ্টি ছাতু এক ঢোক পানিই যথেষ্ট। (ফাযায়েলে সাদাকাত)
অধিক আহার করলে যেসব ক্ষতি হয় তার একটি তালিকা তৈরি করেছেন প্রফেসর রিচার বার্ড। যেমন- মস্তিষ্কের ব্যাধি, চক্ষুরোগ, জিহবা ও গলার রোগ, বক্ষ ও ফুসফুসের ব্যাধি, হৃদরোগ, যকৃত ও পিত্তের রোগ, ডায়াবেটিস, মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ, উচ্চ রক্তচাপ, দুশ্চিন্তাগ্রস্ততা, অর্ধাঙ্গ রোগ ও মনস্তাত্ত্বিক রোগ।
অধিক খাবার গ্রহণে সৃষ্ট অসুবিধাগুলো হলো-শরীর ভারী হওয়া, কাজে অলসতা আসা, বদহজম হওয়া, বমি বমি ভাব হওয়া, কোলেস্টেরল বৃদ্ধি হওয়া, মেদ ভুঁড়ি হওয়া, গ্যাসট্রাইটিস, বুক জ্বলা, পেটে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট হওয়া, শারীরিক ফিটনেসের সৌন্দর্য নষ্ট হওয়া ইত্যাদি।
- যে দোয়া পড়লে মাথা ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়
- যে দোয়া পড়বেন রোগীর সুস্থতার জন্য
- কুরআন-হাদিসের আলোকে জেনে নিন কুরবানির ইতিহাস
- রাসুল (সা.)-এর কবর খনন করেন যিনি
- অহংকার পতনের মূল
- সর্বোত্তম খাবার ও উপার্জন
- মু’আয বিন জাবাল (রা.)কে মহানবী (সা.)-এর ১০ উপদেশ
- খারাপ স্বপ্ন দেখলে রাসুল (সা.) যে আমল করতে বলেছেন
- যেসব ছোট আমলে বেশি নেকি
- নামাজ না পড়লে দুনিয়ার যেসব শাস্তি অনিবার্য