ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ১৪ ১৪৩০

যুক্তরাষ্ট্রের নিম্নকক্ষে বাইডেনের ১.৯ ট্রিলিয়ন ডলারের করোনা তহবিল অনুমোদন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:০৯, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ১.৯ ট্রিলিয়ন ডলারের করোনা তহবিলের অনুমোদন দিয়েছে কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ। এ বিষয়ে স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের এক সপ্তাহ আগেই বিশাল অঙ্কের এই প্রণোদনা প্যাকেজের পরিকল্পনা জানিয়েছিলেন বাইডেন।

স্থানীয় সময় শনিবার সকালে ভোটের ফলাফল অনুযায়ী, এই বিলের পক্ষে ভোট পড়েছে ২১৯টি এবং বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ২১২ জন। বেশিরভাগ ডেমোক্র্যাট এই বিলের পক্ষে থাকলেও দুই ডেমোক্র্যাট সদস্য এই বিলের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। তারা এই বিলকে বড় ধরনের ব্যয় বলে মনে করছেন।

এই বিলটি এখন সিনেটে পাঠানো হবে। সেখানে ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকান সদস্যের সংখ্যা প্রায় সমান। সিনেটে অনুমোদন পেলে আর কোনো বাধা থাকছে না। এই প্রণোদনা প্যাকেজটির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের পরিবারগুলোর জন্য এক ট্রিলিয়ন ডলার বরাদ্দ থাকবে। এর আওতায় প্রত্যেক মার্কিনিকে এক হাজার ৪শ ডলার করে সহায়তা দেয়া হবে।

ভ্যাকসিন কার্যক্রম এবং করোনা পরীক্ষাকে আরও গতিশীল এবং অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতেই এই প্রণোদনা প্যাকেজের পরিকল্পনা করা হয়েছে। ত্রাণ প্যাকেজের আওতায় করোনা মোকাবিলায় খরচ করা হবে ৪১২ বিলিয়ন ডলার আর ছোট ব্যবসার ক্ষেত্রে থাকছে ৪৪০ বিলিয়ন ডলার।

কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে এই ত্রাণ তহবিলের অনুমোদনের জন্য এমন এক সময়ে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে যখন যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ৫ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুতে সব দেশকে ছাড়িয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে কোনভাবেই সংক্রমণের লাগাম টানা যাচ্ছে না।

প্রতিনিধি পরিষদে মাত্র ১০ আসনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও করোনা ত্রাণ তহবিল অনুমোদনের জন্য হওয়া ভোটে আশানুরূপ ফলাফল অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন তারা। এই ত্রাণ তহবিলকে কোভিড -১৯ সংক্রমণের বিরুদ্ধে আমেরিকানদের লড়াইয়ে সহায়তা করার একটি উপায় হিসেবে উল্লেখ করেছেন বাইডেন।

কিন্তু রিপাবলিকানরা বলছেন, বিশাল এই ত্রাণ তহবিল অপ্রয়োজনীয় এবং করোনা মহামারির সঙ্গে এটি সম্পৃক্ত নয়। এখানে ডেমোক্র্যাটদের বিভিন্ন বিষয়কে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে বলেও দাবি করেছেন বেশ কয়েকজন রিপাবলিকান সদস্য।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়