ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

রাশিয়া ও মিয়ানমারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে ইইউ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:০৬, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

ছবি: জোসেপ বোরেল

ছবি: জোসেপ বোরেল

রাশিয়া ও মিয়ানমারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। রুশ বিরোধীদলীয় নেতা আলেক্সেই নাভালনির উপর দমন নীতি এবং মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর তারা এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের নিয়ে আলোচনা করছেন।

ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা তাদের বৈঠকে এই নীতিগত সিদ্ধান্ত নিলে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সেই নিষেধাজ্ঞার স্পষ্ট রূপরেখা তুলে ধরা হবে। মার্চ মাসে ইইউ শীর্ষ সম্মেলনে সেই ঘোষণা করা হতে পারে।

ওয়াশিংটনে পালাবদলের পর বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে আরও সমন্বয়ের মাধ্যমে পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে যৌথ উদ্যোগও দেখা যাচ্ছে। সোমবারই ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের সঙ্গে নানা বিষয়ে আলোচনা করছেন।

রাশিয়ার সঙ্গে ইইউ’র সম্পর্ক বেশ কয়েক বছর ধরে অবনতির পথে। ইউক্রেনের সঙ্গে সংঘাতের জের ধরে ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখল করার পর ইইউ রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে। বর্তমানে রাশিয়ার বিরোধী নেতা আলেক্সেই নাভালনির বিরুদ্ধে মস্কোর পদক্ষেপগুলির কারণে উত্তেজনা আরও বাড়ছে।

তার বিরুদ্ধে আদালতের সর্বশেষ রায়কেও রাজনৈতিক হিসেবে বিবেচনা করছে ইইউ। সংলাপের মাধ্যমে মতবিরোধ মেটানোর প্রচেষ্টাও বিফল হয়েছে। ইইউ পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেলের মস্কো সফরের সময় রাশিয়া ইইউ দেশের কয়েকজন কূটনীতিককে বহিষ্কারের ঘোষণা করায় ব্রাসেলসে ক্ষোভ আরও বেড়ে গেছে।

এমন প্রেক্ষাপটে রাশিয়ার কিছু শীর্ষ কর্মকর্তার ইউরোপে প্রবেশ, ইউরোপে তাদের সম্পদ জব্দের মতো শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিতে পারে ইইউ। একই সঙ্গে বেলারুশে রাশিয়ার নীতি ও নাভালনির সমর্থকদের উপর দমন নীতির মতো কারণে এই প্রথম মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা চাপাতে পারে ইইউ।

নাভালনির দুই ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি রোববার আটটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের নাম পেশ করেছেন, যারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত। তবে কূটনীতিকদের মতে, নাভালনির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে সরাসরি জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধেই শেষ পর্যন্ত পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হবে, যাতে আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হলে সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে না হয়।

ইউরোপীয় ইউনিয়নে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভ্লাদিমির চিজভ বলেন, ইইউ আরও নিষেধাজ্ঞার পথ বেছে নিলে রাশিয়াও পালটা শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেবে। রাশিয়া এর আগেও প্রয়োজনে ইইউ’র সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার হুমকি দিয়েছিল।

মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাছাই করা সামরিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপের পরিকল্পনা করছে। বিশেষ করে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ-বিক্ষোভ দমন করার নীতির তীব্র সমালোচনা করছে ব্রাসেলস।

সূত্র: ডয়চে ভেলে

সর্বশেষ
জনপ্রিয়