ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

রিমান্ড শেষে হেফাজত নেতা আজিজুল হক কারাগারে

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:০২, ১২ মে ২০২১  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনায় পল্টন থানায় করা মামলায় হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদীকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদারের আদালত এই আদেশ দেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিন রিমান্ড শেষে আসামি আজিজুল ইসলামকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক জাহিদুল ইসলাম। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে, গত ৩ মে বায়তুল মোকাররমে চলতি বছরের মার্চ মাসে হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনায় পল্টন থানায় করা এক মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য আজিজুল হক ইসলামাবাদীর সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। এরপর শুনানি শেষে আদালত তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে পল্টন থানার আরেক মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। এরপর শুনানি শেষে আদালত চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এদিকে গত ১১ এপ্রিল মধ্যরাতে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে র‍্যাবের সঙ্গে যৌথ অভিযানে আজিজুল হককে গ্রেফতার করে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এরপর গত ১২ এপ্রিল ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারীর আদালত ২০১৩ সালে পল্টন থানায় করা মামলায় সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তারপর ঢাকা মহানগর হাকিম শাহিনুর রহমানের আদালত ২০১৩ সালের রাজধানীর মতিঝিল থানায় নাশকতার মামলায় তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ৫ মে অবরোধ কর্মসূচির নামে লাঠিসোটা, ধারালো অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন ও আরামবাগসহ আশপাশের এলাকায় যানবাহন ও সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় পল্টন থানায় মামলা করা হয়।

সম্প্রতি বায়তুল মোকাররম মসজিদ, পল্টন, যাত্রাবাড়ীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তাণ্ডব এবং ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। এরপর এ ঘটনায় রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা হয়। তদন্তে নামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তদন্তের অংশ হিসেবে সেদিনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী, গ্রেফতারকৃতদের দেয়া তথ্য, একই সঙ্গে ঘটনার ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে জড়িতদের শনাক্ত করা হচ্ছে। নিশ্চিত হওয়ার পরই সন্দেহভাজন আসামিদের গ্রেফতার করছে পুলিশ।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়