ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

রেকর্ড ছাড়িয়েছে চা উৎপাদন

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:১৬, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

রেকর্ড ছাড়িয়েছে চা উৎপাদন

রেকর্ড ছাড়িয়েছে চা উৎপাদন

উত্তরবঙ্গে এক বছরে চা উৎপাদনের পরিমাণ রেকর্ড ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে চা বোর্ড। উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলায় (পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, লালমনিরহাট ও নীলফামারী) গত মৌসুমে উৎপাদন হয়েছে ১ কোটি ৭৭ লাখ ৫৯ হাজার ২২৬ কেজি চা। এ পরিমাণ আগের বছরের তুলনায় ৩২ লাখ ১৯ হাজার ২২৬ কেজি বেশি বলে পঞ্চগড়ে বাংলাদেশ চা বোর্ডের আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে জানানো হয়।

চা বোর্ড জানায়, এ বছর বাগান থেকে ৯ কোটি ২ লাখ ৭৪ হাজার ৬৩২ কেজি কাঁচা চা-পাতা সংগ্রহ করা হয়। পাতাগুলো পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও ও লালমনিরহাটের ২৫ কারখানায় প্রক্রিয়াজাত করে ১ কোটি ৭৭ লাখ ৫৯ হাজার ২২৬ কেজি চা উৎপাদন হয়েছে। এই উৎপাদন জাতীয় উৎপাদনের ১৮ দশমিক ৯২ শতাংশ।

চা বোর্ড জানিয়েছে, ২০২১ সালে এ অঞ্চলে চা আবাদ হয় ১১ হাজার ৪৩৩ দশমিক ৯৪ একর জমিতে। উৎপাদন হয়েছিল ১ কোটি ৪৫ লাখ ৪০ হাজার কেজি। সেই তুলনায় গত এক বছরে আবাদ বেড়েছে ৬৪৫ দশমিক ১২ একর। আর উৎপাদন বেড়েছে ৩২ লাখ ১৯ হাজার ২২৬ কেজি।

চা বোর্ড আরও জানিয়েছে, সিলেটের পর দ্বিতীয় বৃহৎ চা উৎপাদন অঞ্চল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে পঞ্চগড়। চা উৎপাদনে এগিয়ে রয়েছে ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাটও।

চা বোর্ডের তথ্য মতে, ৫ জেলার মোট ১২ হাজার ৭৯ দশমিক ৬ একর জমিতে চা আবাদ হয়। এর মধ্যে পঞ্চগড়ে হয় ১০ হাজার ২৩৯ দশমিক ৮০ একরে। এ ছাড়া ঠাকুরগাঁওয়ে ১ হাজার ৪৫৭ দশমিক ২৯, লালমনিরহাটে ২২২ দশমিক ৩৮, দিনাজপুরে ৮৯ এবং নীলফামারীতে ৭০ দশমিক ৫৯ একর জমিতে চা বাগান রয়েছে।

পঞ্চগড়ে বাংলাদেশ চা বোর্ডের আঞ্চলিক কার্যালয়ের উন্নয়ন কর্মকর্তা আমির হোসেন বলেন, চা চাষ সম্প্রসারণে স্বল্পমূল্যে উন্নত জাতের চারা সরবরাহ করার পাশাপাশি কর্মশালা হচ্ছে। চাষিদের সমস্যা সমাধানে ‘দুটি পাতা একটি কুঁড়ি’ নামে একটি মোবাইল অ্যাপস চালু করা হয়েছে। এ ছাড়া আঞ্চলিক কার্যালয়ে একটি পেস্ট ম্যানেজমেন্ট ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে চাষিদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান, রোগবালাই ও পোকা দমনে বিভিন্ন সহায়তা দেওয়া হয়।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়