শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান: পরিবেশ অধিদফতর
নিউজ ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত
পরিবেশের যথাযথ সংরক্ষণের উপর আমাদের সুস্থ ও সুন্দরভাবে বেঁচে থাকা নির্ভরশীল। কোন পরিবেশ মানুষের জন্য কল্যাণকর, কোন পরিবেশে বসবাস করলে মানুষের সুবিধা হবে বা মানুষ সুন্দরভাবে বেঁচে থাকতে পারবে, ইসলাম তা সুনিশ্চিত করলেও বায়ুদূষণ, মাটিদূষণ, পানিদূষণ, শব্দদূষণের মাধ্যমে মানুষ প্রতিদিন আল্লাহর অপার নিয়ামত এই পরিবেশ নানাভাবে নষ্ট করছে।
শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি অত্যন্ত জরুরি। সরকার কিংবা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার একার পক্ষে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। এজন্য সকলকে উদ্যোগী হতে হবে। এক্ষেত্রে মসজিদের খতিব/ইমামগণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।
শনিবার পরিবেশ অধিদফতরের শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারত্বমূলক প্রকল্পের আওতায় ইমামদের সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ শেষে বক্তারা এসব কথা বলেন।
প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিবেশ অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ও প্রকল্প পরিচালক মো. হুমায়ুন কবীর।
তিনি বলেন, সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে মানুষকে তিনটি বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন। যেমন জগতের সব সৃষ্ট বস্তুই আল্লাহর বলে উপলব্ধি করা, প্রকৃতির সম্পদ সবার ক্ষেত্রে সুষ্ঠু ও ন্যায়ভাবে ভোগ করা এবং সঠিক ও পরিমিত ব্যবহার করা।
আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির আলোচনায় অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-মতিঝিল বিভাগ) বলেন, শব্দদূষণ নীরব ঘাতক। সড়ক পরিবহন আইনে শব্দদূষণের কারণে জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। কোনো বিষয়ে সফলতা অর্জন করতে হলে জনগণের অংশগ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। ইতিমধ্যে পরিবেশ অধিদফতর আগারগাঁওকে নীরব এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেছে। এ বিধান বাস্তবায়নে পরিবেশ অধিদফতরকে সকলে মিলে সহযোগিতা করতে হবে। ইমামরা যখন ওয়াজ করেন তখন এই শব্দদূষণের বিষয়টি বিবেচনায় নেয়া প্রয়োজন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) আহমদ শামীম আল রাজী বলেন, ইমামরা সমাজ পরিবর্তনের বড় হাতিয়ার। শব্দদূষণের মতো ক্ষতিকর বিষয়ে ইমামদের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চাই আগে মানুষকে সচেতন করতে।
প্রশিক্ষণে উপস্থিত খতিব/ইমামগণ শব্দ দূষণ প্রতিরোধে তাদের সকল ধরনের সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন এবং বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে পরিবেশ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক খন্দকার মাহমুদ পাশা’র সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন মাওলানা সেলিম হোসাইন আজাদী, সৈয়দ মনিরুজ্জামান, আলমগীর হায়দার প্রমুখ।
- PM opens Southeast Asia`s largest fertiliser factory in Narsingdi
- Tk 12,500 announced as minimum wage for RMG workers
- PM vows to make leprosy free Bangladesh by 2030
- Bangladesh joins `50-in-5` campaign as first-mover country to implement DPI
- রাজধানীতে আজ চালু হলো ১০টি ইউটার্ন
- কৃষিপণ্য কেনাবেচার অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘ফুড ফর ন্যাশন’ উদ্বোধন করে
- বঙ্গবন্ধুর সাথে ছোট বেলার স্মরণীয় মধুর স্মৃতি
- আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলাঃ রাষ্ট্র বনাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
- ২৫তম পর্ব: কর্ডন প্রথার বিরুদ্ধে লড়াই
- প্রতিমন্ত্রী জানালেন বাড়তি বিদ্যুত বিল এলে যা করবেন