ঢাকা, মঙ্গলবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

শিক্ষাখাতের আমূল পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছে সরকার : প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:৪৯, ১৬ জুলাই ২০২৩  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

সরকার গত ১৪ বছরে শিক্ষাখাতের আমূল পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে এনেছে। প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত শিক্ষার মান ও সব প্রতিষ্ঠান উন্নত করতে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’ 

আজ রোববার সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজের অধ্যক্ষ সম্মেলন ও বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা যখন ১৯৯৬ সালে ক্ষমতা আসি তখন দেখি বিজ্ঞান শিক্ষার প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ কম। বিজ্ঞান শিক্ষার জন্য আলাদা কোনো বরাদ্দ ছিল না। ১৯৯৬ সালে যখন ক্ষমতায় আসলাম তখন এসেই ১২ কোটি টাকা বরাদ্দ দিলাম কৃষি গবেষণা খাতে। ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখলাম শুধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গবেষণা খাতে। ১৯৯৬ সালে এসে কম্পিউটার শিক্ষার ওপর জোর দিলাম। কারণ বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হলে বিজ্ঞানের প্রতি ছাত্রদের আগ্রহ বাড়বে বলে আমি বিশ্বাস করেছিলাম। আজ সেটার সুফল জাতি পাচ্ছে।’

এ সময় দেশের অগ্রযাত্রা, শান্তি-সমৃদ্ধি বজায় রাখতে মুক্তিযুদ্ধের শক্তির পক্ষে থাকার জন্য শিক্ষকদের প্রতি অনুরোধ জানান প্রধানমন্ত্রী।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের সঠিক ইতিহাস জানা দরকার। কারণ ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছিল।’

তিনি বলেন, ‘আমরা যে বিজয় অর্জন করেছি সেই বিজয়ের ইতিহাস যদি কেউ না জানে তাহলে আমাদের দেশের মানুষের মনে আত্মবিশ্বাস জাগ্রহ হবে কিভাবে? একটা গর্বিত জাতি আমরা। সেই গর্বিত জাতি হিসেবে কিভাবে আমরা নিজেদেরকে এগিয়ে নিয়ে যাব? আমাদের প্রজন্মের পর প্রজন্ম কিভাবে এগিয়ে যাবে? ইতিহাস থেকে আমরা শিক্ষানি। সেই ইতিহাসই বিকৃত করা হয়েছিল বা বন্ধ করা হয়েছিল। ধন্যবাদ জানাই যে, সেই ইতিহাসকে আবারও জনগণের সামনে নিয়ে আসা হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৯১ সালে যখন আমাদের এ অঞ্চলে, দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে যখন সাবমেরিন ক্যাবল সংযুক্ত হচ্ছে। তখন একটি প্রস্তাব আমরা পেয়েছিলাম, বাংলাদেশ বিনা পয়সায় সাবমেরিন ক্যাবলে সংযুক্ত হতে পারবে। সেসময় ক্ষমতায় খালেদা জিয়া। তিনি বলে দিলেন- সংযুক্ত করা যাবে না। দেশের সব সিক্রেসি নাকি আউট হয়ে যাবে। সিক্রেসিটা কী, আউট বা কীভাবে হবে, সেটা আমরা জানি না। কত পেছনে আমরা পিছিয়ে ছিলাম।’

অনুষ্ঠানে চারটি বিষয়ে মাস্টার্স প্রোগ্রাম চালুসহ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিক্যাল মাস্টারপ্ল্যান উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী অস্বচ্ছল ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের বৃত্তির চেক তুলে দেন সরকারপ্রধান।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সারাদেশ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ২২৫৭টি কলেজের অধ্যক্ষরা অংশ নিয়েছেন।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়