ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ১৪ ১৪৩০

শিশুকে রাজনৈতিক কারণে ব্যবহারের তীব্র নিন্দা মুক্তিযোদ্ধা, কৃষিবিদ, শিক্ষক ও শিল্পীদের

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:২২, ১ এপ্রিল ২০২৩  

শিশুকে রাজনৈতিক কারণে ব্যবহারের তীব্র নিন্দা মুক্তিযোদ্ধা, কৃষিবিদ, শিক্ষক ও শিল্পীদের

শিশুকে রাজনৈতিক কারণে ব্যবহারের তীব্র নিন্দা মুক্তিযোদ্ধা, কৃষিবিদ, শিক্ষক ও শিল্পীদের

শিশুকে অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে রাজনৈতিক কারণে ব্যবহারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেছেন মুক্তিযোদ্ধা, কৃষিবিদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিল্পীরা। দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় শিশুকে অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে বক্তব্য গ্রহণ ও সংবাদ প্রকাশের জেরে তীব্র নিন্দা জানায় তারা।

বিবৃতিতে বলা হয়, স্বাধীনতা দিবসে ফুল বিক্রেতা শিশু সবুজের হাতে প্রথম আলোর সাংবাদিক ১০ টাকা হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলতে বলেছেন, ‘আমাগো মাছ মাংস আর চাইলের স্বাধীনতা লাগবো’। এটি গর্হিত অপরাধ।’

বিবৃতি দাতারা জানায়, ‘সবুজ স্কুলে পড়ে। তারপর ফুল বিক্রি করে মায়ের সঙ্গে .. এক ভাই, ১০ টাকা দিয়ে এ কথা বলতে বলেছে’- শিশুটি নিজেই এ কথা জানিয়েছে। অথচ তাকে নিয়ে যেভাবে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে, ধিক্কার জানাই এমন সাংবাদিককে। তিনি একটি শিশুকে অর্থ দিয়ে প্রলুব্ধ করে মিথ্যা বলতে শিখিয়েছেন। তিনি রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে সরকারকে বিব্রত, স্বাধীনতা দিবসকে হেয় করার জন্য একটি শিশুকে ব্যবহার করেছেন যা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। একটি শিশুকে অর্থের বিনিময়ে ব্যবহার করে কিছু বলতে বাধ্য করা ও রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার এই ঘটনাটি আমাদের বাসন্তীকে জাল পরিয়ে ছবি তুলে‌ তা ‘বাংলাদেশের দুর্ভিক্ষের চিত্র’ বলে বিশ্বের বুকে ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনাকে মনে করিয়ে দেয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, প্রথম আলো যখন সংবাদটি ভাইরাল হয় তার ১৭ মিনিট পর তা তুলে নেয়, যা প্রকারান্তরে ওই সংবাদটির অসত্যতাই প্রমাণ করে। উক্ত সাংবাদিক ও প্রথম আলোর এহেন সংবাদ পরিবেশন এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলে একটি শিশুর এমন নির্লজ্জ ব্যবহারে আমরা ক্ষুব্ধ, হতাশ ও লজ্জিত। একটি শিশুকে অর্থ দিয়ে প্রলুব্ধ করা, মিথ্যা বলতে প্ররোচিত করা, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলে ব্যবহার করা হয়েছে সরকারকে বিব্রত করার জন্য। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান বিবৃতিদানকারীরা।

কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. জাকির হোসেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের (রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শাহ্ আজম, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়র উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফরহাদ হোসেন, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য আনোয়ার হোসেনের পক্ষে মঙ্গলবার প্রদান করা এই বিবৃতিতে গত (২৮ মার্চ) স্বাক্ষর করেন তারানা হালিম।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়