শিশুদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে: রাষ্ট্রপতি
নিউজ ডেস্ক
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ‘শিশুরাই জাতির ভবিষ্যৎ। তারাই ভবিষ্যতে সমাজ, দেশ ও বিশ্ব পরিচালনায় নেতৃত্ব দিবে। সভ্যতা ও সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে অনন্য উচ্চতায়। এ জন্য তাদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘শিশুরা স্নেহ-মমতা, জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রগতিশীল চিন্তা-চেতনায় সমৃদ্ধ হয়ে গড়ে উঠলে এর ইতিবাচক প্রভাব আগামী দিনের বিশ্বে পড়বে।’
রাষ্ট্রপতি সোমবার (৪ অক্টোবর) ‘বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ-২০২১’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলাদেশে ‘বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ-২০২১’ উদযাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। এ উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব শিশুর প্রতি রইলো আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। এবারের বিশ্ব শিশু দিবসের প্রতিপাদ্য ‘শিশুর জন্য বিনিয়োগ করি, সমৃদ্ধ বিশ্ব গড়ি’ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
তিনি বলেন, ‘শিশুদের শারীরিক, মানসিক ও সাংস্কৃতিক বিকাশের জন্য স্বাস্থ্য, পুষ্টি, শিক্ষা, নিরাপত্তা ও বিনোদনের বিকল্প নেই। এগুলো শিশুর অধিকার। ১৯৮৯ সালে বিশ্বের সব শিশুর অধিকার সংরক্ষণের বিষয়টি উপলব্ধি করে জাতিসংঘে শিশু অধিকার সনদ গৃহীত হয়। বাংলাদেশ এ সনদে অনুস্বাক্ষরকারী অন্যতম একটি দেশ।’
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘তবে এর ১৫ বছর পূর্বেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে শিশুদের অধিকার সুরক্ষায় শিশু আইন প্রণয়ন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় সরকার শিশু অধিকার সংরক্ষণ, শিশুর প্রতিভা বিকাশে সাংস্কৃতিক প্রশিক্ষণ প্রদান, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কর্মসূচি পরিচালনাসহ শিশু নির্যাতন বন্ধ, বিশেষ করে কন্যাশিশুদের প্রতি বৈষম্য বিলোপ সাধনে বিভিন্ন প্রকল্প ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।’
“পাশাপাশি প্রণয়ন করা হয়েছে ‘জাতীয় শিশু শ্রম নিরসন নীতি ২০১০’, ‘জাতীয় শিশু নীতি ২০১১’, ‘শিশু আইন ২০১৩’, ‘শিশুর প্রারম্ভিক যত্ন ও বিকাশের সমন্বিত নীতি ২০১৩’ এবং ‘শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র আইন ২০২১’। শিশুর পুষ্টি ও সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার জন্য প্রায় ১১ লাখ মাকে মাতৃত্বকালীন ও ল্যাকটেটিং মাদার ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। এসব কর্মসূচি ও নীতিমালা শিশুর শারীরিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে’ বলেন রাষ্ট্রপতি।
তিনি আরও বলেন, ‘শিশুদের পরিপূর্ণ বিকাশের লক্ষ্যে মৌলিক অধিকার প্রদানের পাশাপাশি তাদের মধ্যে দেশপ্রেম ও মানবিক গুণাবলীর উন্মেষ ঘটাতে হবে। আমি আশা করি, শিশু অধিকার সপ্তাহ ও বিশ্ব শিশু দিবস ২০২১ উদযাপনে গৃহীত কর্মসূচি শিশুদের পরিপূর্ণ বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এ বিষয়ে সরকারের পাশাপাশি সমাজের সব স্তরের জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব শিশু স্নেহ-মমতা ও নিরাপদে বেড়ে উঠুক, বিশ্ব শিশু দিবসে এ আমার প্রত্যাশা। আমি বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০২১ উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচির সাফল্য কামনা করি।’
- PM opens Southeast Asia`s largest fertiliser factory in Narsingdi
- Tk 12,500 announced as minimum wage for RMG workers
- PM vows to make leprosy free Bangladesh by 2030
- Bangladesh joins `50-in-5` campaign as first-mover country to implement DPI
- রাজধানীতে আজ চালু হলো ১০টি ইউটার্ন
- কৃষিপণ্য কেনাবেচার অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘ফুড ফর ন্যাশন’ উদ্বোধন করে
- বঙ্গবন্ধুর সাথে ছোট বেলার স্মরণীয় মধুর স্মৃতি
- আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলাঃ রাষ্ট্র বনাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
- ২৫তম পর্ব: কর্ডন প্রথার বিরুদ্ধে লড়াই
- প্রতিমন্ত্রী জানালেন বাড়তি বিদ্যুত বিল এলে যা করবেন