শুধু ২৭ রমজান ইতিকাফ করলে হবে কি?
ইসলাম ডেস্ক
সংগৃহীত
রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ নেহাত গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলতময়। মূলত শবে কদর লাভ ইতিকাফের অন্যতম উদ্দেশ্য। কিন্তু কারও মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, যেহেতু ইতিকাফের মূল উদ্দেশ্য শবে কদরের তালাশ, তাই যারা চাকরিজীবী তারা যদি শুধু ২৭ তারিখ অথবা শেষ তিন দিন ইতিকাফ করে তবে সুন্নত আদায় হবে?
জেনে রাখা উচিত যে, শবে কদর সম্পর্কে সর্বাধিক বিশুদ্ধ ও বিতর্কমুক্ত অভিমত হলো- শবে কদর শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতেই হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে কারো জন্য ইবাদত করা সম্ভব না হলে ২৭তম রাতে কিছুতেই উদাসীন থাকা উচিত নয়। বিশেষ করে ওই দিন মাগরিব ও এশার নামাজ মসজিদে গিয়ে জামাতের সঙ্গে আদায় করলে হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী সে-ও শবে কদরের ফজিলত পেয়ে যাবে।
হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি এশা ও ফজর নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করে, সে যেন সারা রাত দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করে।’ (মুসলিম, হাদিস : ৬৫৬)
এ ক্ষেত্রে কেউ কেউ বলে থাকেন, ২৭তম রজনীকে অধিক গুরুত্ব দেওয়া অবৈধ কিংবা বিদাত! অথচ এর সপক্ষে হাদিস ও সাহাবায়ে কেরামদের আমল রয়েছে।
শুবা (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, উবাই ইবনে কাব (রা.) শবেকদরের রাতে বলেন, ‘আল্লাহর শপথ করে বলছি, আমি তা সম্পর্কে অবগত আছি। (আর তা হলো ২৭তম রাত) কেননা রাসুল (সা.) এ রাতে আমাদের নামাজে দাঁড়াতে আদেশ করতেন। (মুসলিম, হাদিস : ৭৬২)
অনুরূপ ধারণা পোষণ করতেন হজরত মুয়াবিয়া (রা.), হজরত ইবনে আব্বাস (রা.), হজরত হাসান (রা.) ও আবদুল্লাহ ইবনে জুবাইর (রা.)। (কুরতুবি)
- যে দোয়া পড়লে মাথা ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়
- যে দোয়া পড়বেন রোগীর সুস্থতার জন্য
- কুরআন-হাদিসের আলোকে জেনে নিন কুরবানির ইতিহাস
- রাসুল (সা.)-এর কবর খনন করেন যিনি
- অহংকার পতনের মূল
- সর্বোত্তম খাবার ও উপার্জন
- মু’আয বিন জাবাল (রা.)কে মহানবী (সা.)-এর ১০ উপদেশ
- খারাপ স্বপ্ন দেখলে রাসুল (সা.) যে আমল করতে বলেছেন
- যেসব ছোট আমলে বেশি নেকি
- নামাজ না পড়লে দুনিয়ার যেসব শাস্তি অনিবার্য