ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ১৫ ১৪৩০

সুপ্রিম কোর্টে বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীর জামিন আপিলে স্থগিত

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:৫৮, ৬ জুন ২০২১  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

নাশকতার দুই মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করে হাইকোর্টের দেয়া জামিন আদেশ দুই সপ্তাহের জন্যে স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। আগামী ২০ জুন পর্যন্ত তার জামিন স্থগিত করে, এ সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে লিভ টু আপিল দায়ের করতে বলা হয়েছে।

জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে রোববার (৬ জুন) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের নিয়মিত ভার্চুয়াল বেঞ্চে এই আদেশ দেন।

আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি ব্যারিস্টার ড. মো. বশির উল্লাহ।

আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যার্টনি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরশেদ, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ ও ব্যারিস্টার ড. মো. বশির উল্লাহ।

অন্যদিকে আসলাম চৌধুরীর পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট হাসিবুর রহমান হাসিব।

গত ১ জুন চেম্বার আদালত আপিল বিভাগের নিয়মিত পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন শুনানির জন্য ৬ জুন দিন ধার্য করেছিলেন। ওইদিন আপিল বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর চেম্বার আদালত এ আদেশ দেন।

এর আগে ৩০ মে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ তার জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন। ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। সেই আবেদনের শুনানিতে কোনো আদেশ না দিয়ে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। তারই ধারাবাহিকতায় সেটি শুনানির জন্যে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের (কজলিস্ট) কার্যতালিকায় এসেছে আজ।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির উল্লাহ জানান, নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর কোতোওয়ালী থানায় ২০১৩ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি এবং একই বছরের ২২ এপ্রিল অপর মামলাটি শাহবাগ থানায় করা হয়। এ দুটি মামলায় কারাবন্দি আসলাম চৌধুরীকে আসামি হিসেবে চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি গ্রেফতার দেখানো হয়। পরে সেগুলোতে তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিন পান।

২০১৬ সালের ২৬ মে নগরীর গুলশান থানায় আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করে পুলিশ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পাওয়ার পর দণ্ডবিধির ১২০/বি (রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র), ১২১/এ (রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার ষড়যন্ত্র) এবং ১২৪/এ (রাষ্ট্রদ্রোহ) ধারায় মামলাটি করা হয়।

দণ্ডবিধির ১২০ (বি), ১২১ (৩) ও ১২৪ (এ) ধারায় রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে মামলায় আসলামের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্টের সদস্যের সঙ্গে বৈঠক করে ‘বাংলাদেশ সরকার উৎখাত ষড়যন্ত্রের অভিযোগ’ আনা হয়।

ওই মামলায় নিম্ন আদালতে জামিন নামঞ্জুর হলে আসলাম চৌধুরী হাইকোর্টে আবেদন করেন। এরপর ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে রুল জারি করে আসলামকে কেন জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চান হাইকোর্ট। পরে ২০১৭ সালের ১৮ মে ওই রুলের শুনানি নিয়ে তার জামিন মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট বেঞ্চ।

২০১৬ সালের ১৫ মে সন্ধ্যায় রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে আসলাম চৌধুরীকে গ্রেফতার করে ডিবি। পরদিন ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়