স্বাভাবিক হচ্ছে পেঁয়াজের বাজার
নিউজ ডেস্ক
স্বাভাবিক হচ্ছে পেঁয়াজের বাজার
দামে লাগাম টানতে আমদানির অনুমতির পর দেশে পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে দুই দিনে চার লাখ মেট্রিক টনের বেশি আমদানির অনুমতি মেলেছে রান্নার এ উপকরণটি। এর পর থেকেই বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আসছে দেশে। ফলে কিছুটা কমেছে দাম।
গত সোমবার থেকে মঙ্গলবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত এক হাজার ২৮৮ মেট্রিক টন আমদানিকৃত পেঁয়াজ দেশে এসেছে। আর দুই দিনে অনুমতি দেওয়া হয়েছে চার লাখ ৩৩ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির। গতকাল মঙ্গলবার কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, প্রথম দিনে ২১০টি পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি বা আইপি আবেদন অনুমোদন করা হয়। তাতে পেঁয়াজের পরিমাণ দুই লাখ ৮০ হাজার ৮০০ টন ছিল। মঙ্গলবার অনুমতি বেড়ে সেটি হয়েছে চার লাখ ৩৩ হাজার মেট্রিক টনে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রথম দিন তিনটি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি হয়। এই তিনটি বন্দর হলো দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর, চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর ও সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর। মঙ্গলবারও বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আসে দেশে।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি ও খান ট্রেডার্সের কর্ণধার হারুন-উর রশীদ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'সবকিছু ধরে প্রতি কেজি ২৫-৩০ টাকার কাছাকাছি খরচ পড়তে পারে। ভোক্তা পর্যায়ে এই পেঁয়াজের দাম ৪০ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়।'
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, সোমবার দেশি পেঁয়াজ কেজিতে বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা। যা রোববারের খুচরা দামের চেয়ে ১০ টাকা কম।
কয়েকদিন আগেও পেঁয়াজ ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। মঙ্গলবার তার দাম ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় নেমে এসেছে। কেজিপ্রতি ২০ থেকে ২৫ টাকা কমেছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম শফিকুজ্জামান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'আমদানির অনুমতি পাওয়ার পর পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ টাকা কমেছে। এর থেকে বোঝা যায়, ব্যবসায়ীদের একটি অংশ বেশি মুনাফার জন্য বাজারে কারসাজি করছে।'
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব তপন কান্তি ঘোষ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'গত এক মাস ধরে পেঁয়াজের দাম বাড়ার সুযোগ নিয়েছে একদল অসাধু ব্যবসায়ী। বাজার স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত আমদানি অব্যাহত থাকবে। পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫০ টাকায় নেমে এলে আমরা আমদানি নিয়ন্ত্রণ করব।'
ব্যবসায়ীরা জানান, রোববারের ঘোষণার পর প্রতি মণ পেঁয়াজের দাম কমেছে ২৫০-৩০০ টাকা। রোববার দেশি পেঁয়াজ ৯০ থেকে ৯৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও তা গত দুই দিন ধরে ঢাকার অনেক স্থানে ৭০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। অনেক স্থানে এখনো ৮০ টাকা ধরে বিক্রি হচ্ছে। আগামী দুই-এক দিনের মধ্যেই আরও কমবে মনে করছেন তারা।
রাজধানীর রাজাবাজার, ফার্মগেট এলাকায় বিভিন্ন মুদি দোকান এবং ভ্রাম্যমাণ পেঁয়াজ বিক্রেতারা জানান, বাজারে পেঁয়াজের দাম কম। দুই দিন আগেও তারা ৯০ থেকে ১০০ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন। কিন্তু মঙ্গলবার বিক্রি করেছেন ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে।
পেঁয়াজ আমদানি করতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংঘনিরোধ বিভাগ থেকে অনুমতি নিতে হয়। এই অনুমতি নিয়েই ব্যাংকে ঋণপত্র খুলতে পারেন আমদানিকারকরা। কৃষকদের স্বার্থে গত মার্চ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া বন্ধ করে দেয় কৃষি বিভাগ। গত ১৫ মার্চ থেকে ৪ জুন পর্যন্ত দেশের বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি হয়নি।
- PM opens Southeast Asia`s largest fertiliser factory in Narsingdi
- Tk 12,500 announced as minimum wage for RMG workers
- PM vows to make leprosy free Bangladesh by 2030
- Bangladesh joins `50-in-5` campaign as first-mover country to implement DPI
- রাজধানীতে আজ চালু হলো ১০টি ইউটার্ন
- কৃষিপণ্য কেনাবেচার অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘ফুড ফর ন্যাশন’ উদ্বোধন করে
- বঙ্গবন্ধুর সাথে ছোট বেলার স্মরণীয় মধুর স্মৃতি
- আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলাঃ রাষ্ট্র বনাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
- ২৫তম পর্ব: কর্ডন প্রথার বিরুদ্ধে লড়াই
- প্রতিমন্ত্রী জানালেন বাড়তি বিদ্যুত বিল এলে যা করবেন