স্মৃতিময় অধ্যায়ে পরিণত হয়েছে সিনেমা হল
বিনোদন ডেস্ক
ছবি : সংগৃহীত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার চিত্তবিনোদনের জন্য সিনেমা হল যেন স্মৃতিময় অধ্যায়ে দাঁড়িয়ে আছে। তিনটি হলের মধ্যে সব বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সেখানে গড়ে উঠছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। বন্ধ হওয়া ওই তিনটি সিনেমা হল- মায়াবী, অনুরাগ ও চিত্রকথা।
পঞ্চাশ দশকের মধ্যভাগ থেকে বিংশ শতাব্দী পর্যন্ত ভালোই জমজমাট ছিল হলগুলো। শহর ও গ্রামাঞ্চলের উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্তসহ সকল শ্রেণির লোকজন হলে গিয়ে সিনেমা দেখতো। তবে আকাশ সংস্কৃতির আগ্রাসন, রুচিশীল পরিবেশ, মানহীন সিনেমার অভাব আর ভিডিও পাইরেসিসহ নানা কারণে এ ব্যবসা ঝিমিয়ে পড়ায় বন্ধ হয়ে যায় সিনেমা হলগুলো। বর্তমানে ওইসব এখন স্মৃতিময় অধ্যায় হয়ে রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিনোদন পিয়াসিদের জন্য পৌর শহরসহ উপজেলায় কাগজে কলমে ছিল ৩টি সিনেমা হল। এরমধ্যে সর্বপ্রথম ১৯৬৪ সালে পৌর শহরের সড়ক বাজার এলাকায় মায়াবী সিনেমা হল নামে প্রথম একটি হল চালু করা হয়। পরে লাল বাজারে অনুরাগ ও মোগড়া বাজার এলাকায় চিত্রকথা নামে সিনেমা হল করা হয়। বিনোদন পিয়াসি লোকেরা ওইসব হলে গিয়ে সিনেমা দেখতো। চলচ্চিত্র শিল্পে নানা কারণে বিপর্যয় দেখা দেয়ায় ৯০ দশকের পরে অনুরাগ ও চিত্রকথা নামে দু’টি ও পরে ২০১৮ সালের দিকে মায়াবী সিনেমা হল বন্ধ করে দেন মালিক পক্ষ। এখন আর এ উপজেলায় কোন সিনেমা হল নেই।
সিনেমা হল ভেঙ্গে তৈরি করা হচ্ছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আর মার্কেট। নিম্ন মানের গল্প, কপি পেস্ট কাহিনী, আকাশ সংস্কৃতি আগ্রাসন, টিভি সিরিয়াল, হিন্দি ছবি কলকাতার বাংলা সিনেমা সহজলভ্য হওয়াসহ নানা কারণে দর্শকরা হল থেকে বিমুখ হয়। যার কারণে হল মালিকরাও এ ব্যবসা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন।
এদিকে আখাউড়া পৌর শহরের ব্যস্ততম এলাকার মায়াবী সিনেমা হল ও অনুরাগ সিনেমা হল রোড এই নামটির সঙ্গে সুদীর্ঘ বছরের এক পরিচয় যেন জড়িয়ে আছে। আজও এই দুই সিনেমা হলের নাম করেই মানুষ বলাবলি করে থাকে। সিনেমা হল না থাকলে ও ওই স্থানটিকেই পরিচিতির স্থান হিসাবে ব্যবহার করে আসছেন।
সূত্র জানায়, আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির যুগে যখন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ঘরে বসেই মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি দেখা যায়। সেখানে কষ্ট করে কিংবা পয়সা খরচ করে সিনেমা হলে গিয়ে দেখার কোন যুক্তি নেই। ইন্টারনেটের যুগে উন্নত প্রযুক্তির ছোঁয়ায় দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে সিনেমা হলের প্রয়োজনীয়তা। মানুষ এখন ঘরে বসেই দেশ-বিদেশের নানা ছবি, নাটক সিরিয়াল,খেলা ধুলাসহ নানা প্রকার জিনিস চিত্র বিনোদন করছে।
মোঃ. হুমায়ুন মিয়া বলেন, ছোটবেলা থেকে সিনেমা দেখতে খুবই ভালো লাগতো। শুক্রবার হলে বড় পর্দায় সিনেমা দেখতে যেতাম। নতুন কোন ভালো ছবি আসলে বন্ধুদেরকে নিয়ে দেখতাম। এখন ছবি দেখি মোবাইল ফোনে। কিন্তু হলে দীর্ঘ বছর ধরে ছবি দেখি না।
মোঃ. আক্কাস মিয়া জানায়, কখন কোন ছবি মুক্তি পাচ্ছে সব সময় খোঁজ খবর রাখা হতো। কাজের ফাকে সময় পেলেই হলে ছুটে যেতাম ছবি দেখার জন্য সিনেমা হলে। ছবির মান ভাল থাকায় কোন কোন ছবি একাধিক বার দেখা হত। তিনি বলেন হল বন্ধ হওয়ার পর থেকে কোন হলে গিয়ে সিনেমা দেখা হয় না।
- এবার শাকিব খানকে নিয়ে যা বললেন অনন্ত জলিল
- ছয় মাস আগে বিয়ে করেছেন ফারিণ!
- করোনার জন্য ঈদের সিনেমা অনিশ্চিত
- অভিনেতা ইরফান খান মারা গেছেন
- শবনম ফারিয়ার জরুরি ডিভোর্স!
- আজ বিদ্যা সিনহা মিমের জন্মদিন
- পরিচয় মিললো টম ইমাম জুটির, মুখ খুললেন তারা
- জয়ন্তের কণ্ঠে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কবিতা
- নিষিদ্ধ পর্নোগ্রাফি জগতে পরীমনি!
- অনলাইনে শুরু হচ্ছে ফোক গানের প্রতিযোগিতা