ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

হলমার্ক দেখে মানসম্মত স্বর্ণের গহনা কেনার আহ্বান বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির

বাণিজ্য ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:৪০, ২ জুন ২০২২  

বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন অ্যান্টি স্মাগলিং অ্যান্ড ল এনফোর্সমেন্ট আয়োজিত স্বর্ণের মানোন্নয়ন শীর্ষক

বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন অ্যান্টি স্মাগলিং অ্যান্ড ল এনফোর্সমেন্ট আয়োজিত স্বর্ণের মানোন্নয়ন শীর্ষক

হলমার্ক দেখে মানসম্মত স্বর্ণের গহনা কিনতে ক্রেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। সংগঠনটি বলেছে, সঠিক মানের স্বর্ণের গহনা ক্রয় ও বিক্রয় নিশ্চিত করতে ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের এগিয়ে আসতে হবে। এই লক্ষ্যে মান যাচাই করে স্বর্ণের গহনা কিনতে ক্রেতাদের অনুরোধ করেছেন বাজুস নেতারা।

গতকাল বুধবার (১ জুন) রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে ‘বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন অ্যান্টি স্মাগলিং অ্যান্ড ল এনফোর্সমেন্ট’ আয়োজিত স্বর্ণের মানোন্নয়ন শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ আহ্বান জানান।

মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন অ্যান্টি স্মাগলিং অ্যান্ড ল এনফোর্সমেন্ট চেয়ারম্যান ও বাজুসের সাবেক সভাপতি এনামুল হক খান দোলন।

মতবিনিময় সভায় বাজুসের সাবেক সভাপতি এম এ ওয়াদুদ খান বলেন, দেশে স্বর্ণের মান নিয়ন্ত্রণে যেসব ল্যাব রয়েছে, তা আরও উন্নত করা জরুরি। এসব ল্যাব আধুনিকায়ন করতে হবে। হলমার্ক ছাড়া স্বর্ণের গহনা বিক্রি করা যাবে না।

বাজুসের সাবেক সভাপতি কাজী সিরাজুল ইসলাম বলেন, যারা নিম্নমানের স্বর্ণের গহনা বিক্রি করছেন, তাদের ওপর নজরদারি করতে হবে। বাজুসের একটি মনিটরিং ঠিম গঠন করে স্বর্ণের মানোন্নয়ন করতে হবে।

অনুষ্ঠানে বাজুসের সাবেক সভাপতি ডা. দিলিপ কুমার রায় বলেন, যেকোনো মূল্যে স্বর্ণের মান ঠিক করতে হবে। স্বর্ণের গহনার ক্রেতাদের ঠকানো যাবে না। দেশের সব জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে সর্বোচ্চ মানের গহনা বিক্রি করতে হবে।

মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে এনামুল হক খান দোলন বলেন, এখন থেকে কোনো জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান হলমার্ক ছাড়া স্বর্ণের গহনা বিক্রি করবেন না, আবার ক্রেতারাও কিনবেন না। সঠিক মানের স্বর্ণের গহনা ক্রয় ও বিক্রয় নিশ্চিত করতে হবে। ক্রেতাদেরও মান যাচাই করে স্বর্ণের গহনা কেনার অনুরোধ করছি। এই খাতে প্রতারকদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করবে বাজুস।

বাজুসের সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, নিম্নমানের স্বর্ণের গহনা তৈরির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। কোনো চোরাকারবারির দায়িত্ব বাজুস নেবে না।

অনুষ্ঠানে বাজুসের সহ-সভাপতি এম এ হান্নান আজাদ বলেন, যেসব জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের স্বর্ণের গহনা বিক্রি করে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিয়ে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে। দেশের বাজারে স্বর্ণের গহনার আর্ন্তজাতিক মান নিশ্চিত করতে হবে।

বাজুসের সহ-সভাপতি বাদল চন্দ্র রায় বলেন, কিছু কিছু জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে নিম্নমানের যেসব স্বর্ণের গহনা বিক্রি হয়, এটা বন্ধ করতে হবে।

ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহীন বলেন, হলমার্ক ছাড়া যেসব জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান স্বর্ণের গহনা বিক্রি করছে, তাদের শোরুম পরিদর্শন করে হলমার্ক যুক্ত গহনা বিক্রি করতে উৎসাহিত করতে হবে।

মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন- বাজুস সাধারণ সম্পাদক দিলিপ কুমার আগরাওয়ালা, বাজুসের সহ-সম্পাদক সমিত ঘোষ, বাজুসের সহ-সম্পাদক ও সংগঠনের স্ট্যান্ডিং কমিটি অন অ্যান্টি স্মাগলিং অ্যান্ড ল এনফোর্সমেন্ট ভাইস-চেয়ারম্যান বিধান মালাকার, বাজুসের সহ-সম্পাদক জয়নাল আবেদিন খোকন ও লিটন হাওলাদার, বাজুসের কোষাধ্যক্ষ উত্তম বণিক, বাজুসের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য বাবুল মিয়া, পবিত্র চন্দ্র ঘোষ, রিপনুল হাসান, বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন অ্যান্টি স্মাগলিং অ্যান্ড ল এনফোর্সমেন্ট সদস্য সচিব ইকবাল উদ্দিন প্রমুখ।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়