ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ১৪ ১৪৩০

১২ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী অবসর ও কল্যাণের অর্থ পাবেন

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩:০৩, ২৯ মার্চ ২০২১  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের পুরো চাকরিজীবনের জমানো অবসর ও কল্যাণ ফান্ডের অর্থ পেতে কয়েক বছর সময় লেগে যায়। মুজিববর্ষকে সামনে রেখে একসঙ্গে ১২ হাজার শিক্ষককে এ সুবিধা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অবসরপ্রাপ্ত এমপিওভুক্ত ১২ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীকে মুজিববর্ষে উপহার হিসেবে তাদের পাওনা টাকা বুঝিয়ে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে অবসর ও কল্যাণ বোর্ড। এজন্য সরকারের কাছে ৮০৪ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে।

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের তথ্যানুযায়ী, ২০১৮ সালের ১ জুলাই যারা আবেদন করেছেন তারা এখনও টাকা পাননি। অর্থাৎ অবসরে যাওয়ার প্রায় তিন বছর পরেও শিক্ষক-কর্মচারীরা তাদের পাওনা বুঝে পাচ্ছেন না। সে সময় থেকে চলতি বছরের ২১ মার্চ পর্যন্ত নিষ্পত্তি করার জন্য আবেদন জমা পড়েছে ২৫ হাজার ৩০৯টি। যা পরিশোধে প্রয়োজন ২ হাজার ৭শ কোটি টাকা।

জানা যায়, শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে প্রতি মাসে ছয় শতাংশ হারে যে টাকা কেটে রাখা হয় তা দিয়ে বছরে তহবিলে জমা হয় ৭২০ কোটি টাকা। ভাতা দেয়ার জন্য প্রয়োজন হয় হাজার কোটি টাকা। যেখানে ঘাটতি থাকে ২৮০ কোটি টাকা। মুজিববর্ষে ১২ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর পাওনা পরিশোধ করতে চায় বোর্ড। এজন্য দরকার হবে ১ হাজার ২৮৪ কোটি টাকা।

মুজিববর্ষের বাকি আট মাসে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে ছয় শতাংশ করে কেটে নেয়ার মাধ্যমে আদায় হবে ৪৮০ কোটি টাকা। ঘাটতি থাকবে ৮০৪ কোটি টাকা। আর মুজিববর্ষের বিশেষ কর্মসূচির আওতায় এ টাকা বিশেষ বরাদ্দ চায় অবসর সুবিধা বোর্ড। সেজন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করেছেন বোর্ডের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ শরীফ আহমদ সাদী।

এ বিষয়ে শরীফ আহমদ সাদী জাগো নিউজকে বলেন, ‘সরকার মুজিববর্ষে সবাইকে কিছু না কিছু উপহার দিচ্ছে। আমরা চাই সারাজীবন আলোর দীপ জ্বালানো এসব শিক্ষকদের জন্য কিছু উপহার নিয়ে আসতে।’

তিনি আরও বলেন, ‘মুজিববর্ষে ১২ হাজার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীকে উপহার হিসেবে চেক বিতরণ করতে চাই। এজন্য ৮০৪ কোটি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ চেয়ে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ঊর্ধ্বতনরা আমাকে আশ্বাস দিয়েছেন।’

অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকরা জানান, জমানো টাকা পেতে সংশ্লিষ্টদের পেছনে ঘুরে ঘুরে বিনা চিকিৎসায় অনেকের জীবন প্রদীপ নিভে যাচ্ছে। টাকা তুলতে না পেরে অনেকেই মেয়ের বিয়ে পর্যন্ত দিতে পারছেন না। জীবনের শেষ ইচ্ছে হজ করতে যেতে পারছেন না। অনেক শিক্ষক-কর্মচারী মারা যাওয়ার পর স্বজনরা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।

বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব মো. অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু বলেন, ‘আমরা বেশিরভাগ আবেদন নিষ্পত্তি করতে কাজ করছি। মুজিববর্ষকে কেন্দ্র করে গত আট মাস ধরে সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করে কাজ করছে সবাই। এরই মধ্যে আট হাজার আবেদনের চেক বিতরণ করা হয়েছে।’

সর্বশেষ
জনপ্রিয়