ঢাকা, শনিবার   ২৭ জুলাই ২০২৪ ||  শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

কমনওয়েলথভুক্ত দেশে বাণিজ্য বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০:৪৪, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

কমনওয়েলথভুক্ত দেশে বাণিজ্য বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে

কমনওয়েলথভুক্ত দেশে বাণিজ্য বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে

কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। এসব দেশে রপ্তানিও বাড়তে পারে। কমনওয়েলথ নেটওয়ার্ক ব্যবহারের মাধ্যমে এ সুযোগ কাজে লাগাতে পারে বাংলাদেশ। আগামী বুধবার ঢাকায় দুই দিনের কমনওয়েলথ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরাম অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক এ সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি ‘কমনওয়েলথ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গ্রিন ইনভেস্টমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ দেবেন। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কমনওয়েলথ এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিল (সিডব্লিউইআইসি) ও জেডআই ফাউন্ডেশন যৌথভাবে এ ফোরামের আয়োজন করছে। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিডা কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে কমনওয়েলথে যোগদানের পর বাংলাদেশ এর সক্রিয় সদস্য। ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরাম বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর ক্ষেত্রে নতুন সুযোগ করে দেবে। ফোরামে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর সামনে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্ভাবনা ও সুযোগ তুলে ধরা হবে।

তিনি জানান, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এর লক্ষ্যের সঙ্গে মিল রেখে দেশে বেশ কিছু স্টার্টআপ গড়ে উঠেছে। ফোরামে এসব উদ্যোগ এবং চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রস্তুতি তুলে ধরা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে প্রায় ১৪ বছরের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সম্পর্কে অবগত হবেন ফোরামে যোগ দেওয়া বিভিন্ন দেশের অতিথি। ফোরামে যোগ দিতে কমনওয়েলথভুক্ত সব দেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ইতোমধ্যে অনেকে ঢাকা সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ফোরামে দুই দিনে মোট ১২টি কর্মঅধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। বিদেশি অতিথি ও দেশের বিশেষজ্ঞরা এসব অধিবেশনে অংশ নেবেন। মূল অনুষ্ঠানস্থল ছাড়াও রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে কয়েকটি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল পর্যন্ত ১৩ জন মন্ত্রী, সংসদ সদস্যসহ তিন শতাধিক বিদেশি অতিথি ফোরামে তাদের যোগদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ সংখ্যা আরও অনেক বাড়বে বলে আশা করছেন আয়োজকরা।

কমনওয়েলথ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরাম বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ১৯৭২ সালে কমনওয়েলথের ৩৪তম সদস্য হিসেবে যোগ দেয় বাংলাদেশ। স্বেচ্ছাসেবী এই জোটের সদস্য এখন ৫৬ দেশ। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশের বাস দেশগুলোতে। দেশগুলোর সম্মিলিত জিডিপির আকার ১৩ ট্রিলিয়ন ডলার, যা ২০২৭ সালের মধ্যে সাড়ে ১৯ ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া এবং বাংলাদেশে সিডব্লিউআইসির কৌশলগত উপদেষ্টা জিল্লুর হোসেন।

সুদের হার বাড়তে পারে এদিকে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) নবনির্বাচিত কমিটির সঙ্গে মতবিনিময়ে সালমান এফ রহমান আগামীতে ব্যাংকের সুদহার আরও বাড়বে বলে ইঙ্গিত দেন। বাড়তি সুদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকতে ব্যবসায়ীদের পরামর্শ দেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনের আগে এফবিসিসিআই নেতাদের সঙ্গে বিডা কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সুদের হার বাড়ানোর যুক্তি তুলে ধরে সালমান এফ রহমান বলেন, সরকার অনেক দিন ধরেই ব্যাংকের সুদহার নিয়ন্ত্রিত রেখেছে। কিন্তু বর্তমানে আমানতের সুদহার বেড়েছে। এ কারণে আগামীতে ঋণের সুদহার আর নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে না। কাজেই ব্যবসায়ীদের বাড়তি সুদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। রাজস্ব আহরণ সম্পর্কে সালমান এফ রহমান বলেন, ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে কর কমানো হলেও কাঙ্ক্ষিত হারে রাজস্ব বাড়েনি। সরকারের রাজস্ব আহরণে চ্যালেঞ্জ রয়েছে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে ব্যবসায়ীদের নিয়মিত কর পরিশোধেরও আহ্বান জানান তিনি।

সভায় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের চ্যালেঞ্জ ও রাজস্ব বিভাগের নানা হয়রানির চিত্র তুলে ধরেন ব্যবসায়ী নেতারা। সংকট নিরসনে এফবিসিসিআইকে রাজস্ব বিভাগের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন সালমান এফ রহমান। তিনি বলেন, ব্যবসায় প্রতিযোগিতার পরিবেশ নিশ্চিত করা সরকারের কাজ। তবে ব্যবসায়ীদের লাভ নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব নয়। এফবিসিসিআই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন সভাপতি মাহবুবুল আলম। বৈঠকে বিডা কর্মকর্তা ও এফবিসিসিআইর নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়