গাইবান্ধার দুর্গম চরাঞ্চলে বিদ্যুতের আলো পাচ্ছে ২৬ হাজার পরিবার
নিউজ ডেস্ক
![প্রতীকী ছবি প্রতীকী ছবি](https://www.somoyekattor.com/media/imgAll/2020April/electricy-gaibanda-2012260120.jpg)
প্রতীকী ছবি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগ ‘ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ পৌঁছে দেওয়ার অঙ্গীকার। এ অঙ্গীকারকে সামনে রেখে গাইবান্ধার ৩টি উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চলের প্রায় ২৬ হাজার পরিবার পাচ্ছেন বিদ্যুৎ সুবিধা। সাবমেরিন ক্যাবল সিস্টেমের এই বিদ্যুৎ প্রকল্পে ব্যয় হবে প্রায় ১২০ কোটি টাকা।
শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড গাইবান্ধার নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে ও ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক এক্সপানশন (ডিএনই) নামের প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, নদীবেষ্টিত জেলা গাইবান্ধা। এ জেলার বুক চিড়ে বয়ে গেছে ব্রহ্মপুত্র-যমুনাসহ আরও বেশ কয়েকটি নদ-নদী। এসব নদীর বিভিন্ন স্থানে ভেসে উঠেছে দুর্গম চরাঞ্চল। যুগ যুগ ধরে এসব চরে বসবাসরত পরিবারের মানুষেরা অন্ধকার ভুতরে বাস করলেও তাদের কপালে জোটেনি বৈদ্যুতিক আলো। এতে করে এই চরাঞ্চলের মানুষেরা অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে ছিলেন।
এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী শতভাগ বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমের আওতায় চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে গাইবান্ধার সদর উপজেলার কামারজানি, গিদারী, মোল্লারচর ও সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া-ফুলছড়ি উপজেলার ফজলুপুর, গজারিয়া, উড়িয়া এবং ফুলছড়ির ব্রহ্মপুত্র নদীরতল ও চরের মাটির নিচ দিয়ে ১১ কিলোমিটার সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগ নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড গাইবান্ধার তত্বাবধায়নে ৩৬টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এবং গাইবান্ধা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৬০০ কিলোমিটার লাইন ও দুটি বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্র স্থাপন কাজ চলমান রয়েছে। কেন্দ্রগুলো হচ্ছে- অফগ্রিডে ৩৩/১১ কেভি, ১০ এমভিএ ফুলছড়ি-২ (বাজে ফুলছড়ি) ও ফুলছড়ি-৩ (গাবগাছী)। ওইসব চরাঞ্চলবাসীদের মাঝে বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছাতে ইতিমধ্যে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
ফুলছড়ির টেংরাকান্দি চরের বাসিন্দা মাসুদ রানা বার্তা২৪.কম-কে বলেন, বাপ-দাদার আমল থেকে আমরা চরে বসবাস করে আসছি। কিন্তু বিদ্যুৎ সুবিধা না থাকায় আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটাতে পারেনি এখানকার মানুষরা।
তিনি আরও বলেন, চরাঞ্চলবাসী বিদ্যুৎ পাবেন, এমনটা কখনো ভাবেনি। এখন নিরবচ্ছিন্ন বৈদ্যুতিক সুবিধা পাব, এটি যেন স্বপ্নের মতো। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন ও সাধুবাদ জানাচ্ছি। মুজিব জন্মশত বর্ষে এটিই হবে তার বিশেষ উপহার।
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের গাইবান্ধা নির্বাহী প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান বার্তা২৪.কম-কে জানান, চলতি মাসে বিদ্যুতায়নের কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যমাত্রা ছিল। কিন্তু শুকনো মৌসুমে নদীর পানি শুকিয়ে যাওয়ায় নৌ যোগে কোনো মালামাল পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। হয়তো আগামী বছরের জুন মাসের দিকে এটি সম্পন্ন করা যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, জেলার ৩টি উপজেলার চরাঞ্চলে প্রায় ২৬ হাজার গ্রাহক বৈদ্যুতিক সুবিধা পাবেন। এই প্রকল্পে প্রাথমিকভাবে ব্যয় ধরা হয়েছে ১২০ কোটি টাকা।
- ময়মনসিংহের ঐতিহ্যবাহী লাল চিনি’র ই-কমার্সে ব্যাপক সম্ভাবনা
- বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় চিহ্নিত ভূমি দস্যু ওমর ফারুক গ্রেফতার সিন্ডিকেটের অন্যান্যরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে
- ময়মনসিংহের ভালুকায় গ্রীণ অরণ্য পার্কের শুভ উদ্বোধন
- দেশের প্রথম স্বয়ংক্রিয় দুগ্ধ খামার প্রতিষ্ঠা করেছে ইওন গ্রুপ
- দুর্গাপুর
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনা যোদ্ধারা নমুনা সংগ্রহ করছেন - ময়মনসিংহে পুলিশের ‘ধর্ষণ প্রতিরোধ টিম’
- সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক নির্মাণে ২ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ
- মুক্তাগাছায় নানা উদ্যোগ-সাফল্যে জনসাধারণের প্রশংসায় ভাসছেন ওসি বিপ্লব কুমার বিশ্বাস।
- মসিকের তথ্য অধিকার দিবস-২০২০ এর ১ম পুরস্কার অর্জন
- ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের ৩৩টি ওয়ার্ডকে ৩ টি অঞ্চলে বিভক্ত