নিরাপদে বেহেশতে যাবে কারা?
নিউজ ডেস্ক
![নিরাপদে বেহেশতে যাবে কারা? নিরাপদে বেহেশতে যাবে কারা?](https://www.somoyekattor.com/media/imgAll/2020April/New-Project---2024-04-03T093631927-2404030337.jpg)
নিরাপদে বেহেশতে যাবে কারা?
তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত। নবী সা. সব সময় এ নামাজ নিয়মিতভাবে পড়তেন এবং সাহাবায়ে কেরাম রা.কে তা নিয়মিত আদায় করার জন্য উদ্বুদ্ধ করতেন। পবিত্র কোরআনে তাহাজ্জুদ নামাজের জন্য বিশেষভাবে তাগিদ করা হয়েছে। যেহেতু উম্মতকে নবীর অনুসরণ করার হুকুম করা হয়েছে সে জন্য তাহাজ্জুদের এ তাগিদ পরোক্ষভাবে গোটা উম্মতের জন্য করা হয়েছে।
কোরআন বলছে, এবং রাতের কিছু অংশে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়তে থাকো। এ তোমার জন্য আল্লাহর অতিরিক্ত দয়া ও অনুগ্রহ। শীঘ্রই আল্লাহ তোমাকে উভয় জগতে মর্যাদায় ভূষিত করবেন। (বনি ইসরাইল : ৭৯)
যারা নিয়মিত তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করেন, কোরআনে তাদের মুহসেন ও মুত্তাকি নামে অভিহিত করে তাদের আল্লাহর রহমত এবং আখেরাতে চিরন্তন সুখ-সম্পদের অধিকারী বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। কোরআন বলছে, নিশ্চয়ই মুত্তাকি লোক বাগ-বাগিচায় এবং ঝরনার আনন্দ উপভোগ করতে থাকবে এবং যে যে নিয়ামত তাদের প্রভু পরোয়ারদিগার তাদের দিতে থাকবেন সেগুলো তারা গ্রহণ করবে। (কারণ) নিঃসন্দেহে তারা এর পূর্বে দুনিয়ার জীবনে নেক আমলওয়ালা ছিল। তারা রাতের খুব অল্প অংশেই ঘুমাত এবং শেষ রাতে ইস্তেগফার করত (সূরা যারিয়াত : ১৫-১৮)
প্রকৃতপক্ষে তাহাজ্জুদ নামাজ মন ও চরিত্রকে নির্মল ও পবিত্র করার এবং সত্য পথে অবিচল থাকার জন্য অপরিহার্য ও কার্যকর পন্থা।
কোরআনুল কারিমের ভাষ্য হলো, রাতে ঘুম থেকে ওঠা মনকে দমিত করার জন্য খুব বেশি কার্যকর এবং সে সময়ের কোরআন পাঠ বা জিকির একেবারে যথার্থ। (সূরা মুজ্জাম্মিল : ৬)
তাহাজ্জুদ নামাজিকে আল্লাহ সুবহানাওয়া তায়ালা তার প্রিয় বান্দা বলেছেন এবং নেকি ও ইমানদারির সাক্ষ্য দিয়েছেন।
কোরআন বলছে, তারা আল্লাহর প্রিয় বান্দা, যারা তাদের প্রতিপালকের দরবারে সেজদা করে এবং দাঁড়িয়ে থেকেই রাত কাটিয়ে দেয়। (সূরা ফুরকান : ৬৩-৬৪)
মুমিনদের এ বিশেষ গুণ তাদের কুফরের প্রবল আক্রমণের মোকাবিলায় অটল রাখত এবং বিজয় এনে দিত কোরআন বলছে, এসব লোক অগ্নিপরীক্ষায় অটল অচল, সত্যের অনুরাগী, পরম অনুগত, আল্লাহর পথে সম্পদ উৎসর্গকারী এবং রাতের শেষ প্রহরে আল্লাহর কাছে ভুলত্রুটির জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। (সূরা আল ইমরান : ১৭)
অন্য আরেক সময় তিনি বলেন, ফরজ নামাজের পর সবচেয়ে উৎকৃষ্ট নামাজ হলো রাতে পড়া তাহাজ্জুদ নামাজ। (মুসনাদে আহমদ ৮০২৬)।
তিনি আরও বলেন, রাতের শেষ সময়ে আল্লাহতায়ালা দুনিয়ার আকাশে আসেন এবং বলেন, ডাকার জন্য কেউ আছে কি যার ডাক আমি শুনব, চাওয়ার জন্য কেউ আছে কি যাকে আমি দেব, গুনাহ মাফ চাওয়ার কেউ আছে কি যার গুনাহ আমি মাফ করব?” (সহিহ বুখারি ৫৯৬২)।
তাহাজ্জুদ নামাজের সময় ও রাকাত :
তাহাজ্জুদের অর্থ হলো ঘুম থেকে জাগা। রাতের কিছু অংশ ঘুমিয়ে থাকার পর উঠে নামাজ পড়া। তাহাজ্জুদের মসনূন সময় হলো, এশার নামাজ পর লোকে ঘুমাবে। তারপর অর্ধেক রাতের পর উঠে নামাজ পড়বে। তবে শেষ রাতে ওঠার সুযোগ না হলে এশার নামাজের পরও পড়া যাবে।
দুই রাকাত থেকে শুরু করে আট পর্যন্ত পড়া যায়। অবস্থা ও সুযোগের প্রেক্ষিতে যতটা পড়া সম্ভব ততটা পড়লেই চলবে।
- যে দোয়া পড়লে মাথা ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়
- যে দোয়া পড়বেন রোগীর সুস্থতার জন্য
- কুরআন-হাদিসের আলোকে জেনে নিন কুরবানির ইতিহাস
- সর্বোত্তম খাবার ও উপার্জন
- খারাপ স্বপ্ন দেখলে রাসুল (সা.) যে আমল করতে বলেছেন
- রাসুল (সা.)-এর কবর খনন করেন যিনি
- অহংকার পতনের মূল
- মু’আয বিন জাবাল (রা.)কে মহানবী (সা.)-এর ১০ উপদেশ
- যেসব ছোট আমলে বেশি নেকি
- নামাজ না পড়লে দুনিয়ার যেসব শাস্তি অনিবার্য