ঢাকা, শনিবার   ২৭ জুলাই ২০২৪ ||  শ্রাবণ ১১ ১৪৩১

রায় বিপক্ষে যাওয়ায় নির্বাচনের আগেই ব্যাপক সহিংসতার পরিকল্পনা জামায়াতের

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১:১৬, ২০ নভেম্বর ২০২৩  

রায় বিপক্ষে যাওয়ায় নির্বাচনের আগেই ব্যাপক সহিংসতার পরিকল্পনা জামায়াতের

রায় বিপক্ষে যাওয়ায় নির্বাচনের আগেই ব্যাপক সহিংসতার পরিকল্পনা জামায়াতের

রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল (লিভ টু আপিল) খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

এর ফলে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলে হাইকোর্টের রায় বহাল থাকল। বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি জামায়াতে ইসলাম। তাই শুরু করছে ষড়যন্ত্র। নির্বাচন আসলেই শুরু হয় দেশি-বিদেশি নানা চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র। দীর্ঘদিন ঘাপটি মেরে বসে থাকার পর নির্বাচন আসায় সরব হয়েছে যুদ্ধাপরাধী এই রাজনৈতিক দল। সরব হয়েই পরিকল্পনা শুরু করেছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের ওপর হামলা এবং গাড়ি ভাংচুর করার দিনক্ষণ।

জনগণের জানমালের নিরাপত্তা এবং সহিংসতা এড়াতে দলটি গতিপ্রকৃতি নিয়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গোয়েন্দা সূত্র বলছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে জামায়াত। তাই সমাবেশের অনুমতির বিষয়টি বিবেচনায় রেখেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

সূত্র বলছে, আগামী নির্বাচনের আগে জামায়াত আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠার প্রস্তুতি নিচ্ছে। বড় ধরণের সহিংসতার মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় তারা। নির্বাচন বানচাল তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুতে রাজপথে সাধারণ নাগরিক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর সহিংস হামলা, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হামলা ও তাদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে তারা। আর এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তাদের পেছনে রয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি। মূলত, বিএনপি-জামায়াত মিলে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলের পাঁয়তারা করছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, জামায়াতের সহিংস ও সন্ত্রাসবাদের ইতিহাস বেশ পুরনো। ২০১৩-১৪ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকাজ বন্ধ করার দাবিতে জামায়াত সারা দেশে একটি ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি করেছিল। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের আগে এবং ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে নির্বাচনের এক বছর পর আবারও জ্বালাও-পোড়াও শুরু করে সন্ত্রাসের রাজত্ব করেছিলো তারা। জামায়াতের রাজনীতির মূল লক্ষ্যই হলো ষড়যন্ত্র আর চক্রান্ত করা। দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা। তাই দেশবাসীকে সচেতন হতে হবে।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়