আইসিপি চালু হলে বাংলাদেশ ও ভারতের সমৃদ্ধি হবে : বিজিবি মহাপরিচালক
নিউজ ডেস্ক
আইসিপি চালু হলে বাংলাদেশ ও ভারতের সমৃদ্ধি হবে : বিজিবি মহাপরিচালক
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেছেন, রামগড় আইসিপি (ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্ট) চালু হলে বাংরাদেশ-ভারত আরো বেশি অর্থনৈতিক সুবিধা পাবে। জাপানসহ বিশ্বের অনেক দেশ আমাদের এদিকে ও ভারতের দিকেও আইসিপির দুপ্রান্তে বিভিন্ন ধরনের বিনিয়োগ করছে। রামগড় আইসিপি চালু হওয়ার পর বর্ডারের দুই পাশসহ অবশ্যই সামগ্রিকভাবে অর্থনীতিকে অনেক সমৃদ্ধ করবে। আইসিপি চালু হলে ভিন্ন আঙ্গিকের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গতকাল শুক্রবার বিকালে বিজিবির সুতিকাগার ২২৯ বছরের ইতিহাস ও ঐতিহ্যে গৌরবমন্ডিত রামগড় ব্যাটালিয়নের (৪৩ বিজিবি) ব্যাটালিয়ন সদর, রামগড় স্থলবন্দর সংলগ্ন আইসিপি, ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু এলাকা এবং বিজিবি স্মৃতিস্তম্ভ পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজেপি মহাপরিচালক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় অর্থনৈতিক চাকা যেভাবে সচল হয়েছে, সেটি আরো জোরদার হবে এবং ভবিষ্যতে আরো সমৃদ্ধ হবে। রামগড় আইসিপি (ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্ট) চালু হলে বাংরাদেশ-ভারত আরো বেশি অর্থনৈতিক সুবিধা পাবে। জাপানসহ বিভিন্ন দেশ এখানে এসে বিনিয়োগ করবে। দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর থেকে রামগড় স্থলবন্দরটি পাহাড়ি এলাকায় হওয়ায় অবস্থানটি ভিন্ন এমন প্রশ্নের জবাবে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, রামগড় আইসিপির নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভিন্ন আঙ্গিকে থাকবে। সেজন্য এখান পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে যেহেতু এটির সঙ্গে ফ্রেন্ডশিপ ব্রিজ রয়েছে এবং এখানে যে রাস্তা হচ্ছে, সেটা চট্টগ্রাম পোর্টসহ অন্যান্য জায়গা থেকে দূরত্ব কম। তাই সার্বিকভাবে পারস্পরিক বাণিজ্যের নতুন সমৃদ্ধির দ্বার খুলে যাবে। সবদিক থেকে এটা আরো ত্বরান্বিত হবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশে মিয়ানমারের ১৭৭ জন বিজিপি সদস্য আশ্রয় নিয়েছে। তাদের প্রত্যাবর্তন করার প্রক্রিয়া চলছে। এর আগে আসা মিয়ানমারের বিজেপি সদস্যদের যেভাবে ফেরত পাঠানো হয়েছে, আমরা একইভাবে এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে অন্যদেরও ফেরত পাঠাতে পারব বলে আশা করছি।
এর আগে শুক্রবার বিকালে বিজিবি মহাপরিচালক রামগড়ে আসেন। বিজিবির সুতিকাগার ঐতিহ্যবাহী রামগড় ব্যাটালিয়ন, স্মৃতিস্তম্ভ ও রামগড় আইসিপি পরিদর্শন করছেন বিজিবি মহাপরিচালক। পরে বিজিবি মহাপরিচালক আসন্ন ঈদ উপলক্ষে স্মৃতিস্তম্ভ এলাকায় সীমান্তবর্তী ২৫০টি দুঃস্থ ও অসহায় পরিবারের মধ্যে চাল-ডাল-চিনিসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন।
বিজিবি মহাপরিচালক রামগড় ব্যাটালিয়নের (৪৩ বিজিবি) ব্যাটালিয়ন সদরে সবস্তরের বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে ইফতার করেন। এ সময় তিনি বিজিবির সর্বস্তরের সদস্যদের আভিযানিক, প্রশিক্ষণ ও প্রশাসনিক বিষয়ে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন।
বিজিবি সদর দপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন ও প্রশিক্ষণ), চট্টগ্রাম রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার, গুইমারা সেক্টর কমান্ডার এবং রামগড় ব্যাটালিয়ন (৪৩ বিজিবি) এর অধিনায়কসহ অন্যান্য অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন।
- PM opens Southeast Asia`s largest fertiliser factory in Narsingdi
- Tk 12,500 announced as minimum wage for RMG workers
- PM vows to make leprosy free Bangladesh by 2030
- Bangladesh joins `50-in-5` campaign as first-mover country to implement DPI
- রাজধানীতে আজ চালু হলো ১০টি ইউটার্ন
- কৃষিপণ্য কেনাবেচার অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘ফুড ফর ন্যাশন’ উদ্বোধন করে
- আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলাঃ রাষ্ট্র বনাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
- বঙ্গবন্ধুর সাথে ছোট বেলার স্মরণীয় মধুর স্মৃতি
- ২৫তম পর্ব: কর্ডন প্রথার বিরুদ্ধে লড়াই
- প্রতিমন্ত্রী জানালেন বাড়তি বিদ্যুত বিল এলে যা করবেন