করোনা পরিস্থিতিতে চলমান লকডাউনে জরুরি খাদ্য পরিবহনে কোন বাধা নেই
নিউজ ডেস্ক
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, বিদ্যমান করোনা পরিস্থিতিতে সরকার ঘোষিত চলমান নিষেধাজ্ঞাকালে (লকডাউন) জরুরি খাদ্য পরিবহনে কোন বাধা নেই।
তিনি বলেন, মাছ, মাংস, দুধ, ডিম অত্যাবশ্যকীয় পণ্য। একই সঙ্গে এগুলো পচনশীল দ্রব্য। এগুলো উৎপাদন, পরিবহণ ও বিপণণে কোনোভাবেই বাধা থাকবে না। এ ব্যাপারে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট দফতর-সংস্থায় চিঠি দিয়ে মন্ত্রণালয় থেকে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর বেইলি রোডের তার সরকারি বাসভবন থেকে এক সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এ সভার আয়োজন করে।
এ ব্যাপারে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে প্রয়োজনীয় সমন্বয় করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় এবং জেলা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের তৎপর থাকার নির্দেশ দেন মন্ত্রী। উপজেলা কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে যোগাযোগ রক্ষা এবং মনিটরিংয়ের জন্যও জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন তিনি।
তিনি বলেন, এ বছর করোনা পরিস্থিতি গত বছরের চেয়ে আরো ভয়াবহ। তবে এ সময় আতঙ্কিত হয়ে একেবারে ঘরে বসে থাকার সুযোগ নেই। আমরা সবকিছু বন্ধ করে দিলে দেশ চলবে না। মানুষের মাছ, মাংস, দুধ ডিমের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে না। আবার উৎপাদক, খামারি, বিপণনকারীসহ এ খাত সংশ্লিষ্ট অন্যান্যরাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, গত বছর এ খাতের সংকট উত্তরণে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল, কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছিল, পরিবহনের বাধাও দূর করা হয়েছিল। বন্দরে মৎস্য ও প্রাণি খাদ্য ছাড়করণেও আমরা ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। এ বছরও প্রান্তিক খামারিদের উৎপাদিত পণ্য ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়ের ব্যবস্থা করা হবে। উদ্ভূত সংকট মোকাবিলায় কন্ট্রোল রুম চালু করা হবে।
কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, বিগত বছর করোনার মধ্যে আপনাদের পরিশ্রম ও আন্তরিক প্রচেষ্টার কারণে মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দফতর-সংস্থার ভাবমূর্তি দেশবাসীর কাছে প্রশংসিত হয়েছে।
তিনি বলেন, করোনাকালে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত একটি বড় খাত। এজন্য এ খাতের উৎপাদন, পরিবহণ ও বিপণন অবশ্যই অব্যাহত রাখতে হবে। করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতিতে কোনোভাবেই যেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত নুয়ে না পড়ে। এ খাত নুয়ে পড়লে ভয়াবহ ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। কারণ পুষ্টি ও আমিষের বড় যোগান আসে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত থেকে। এ খাতের যে সুনাম গত বছর হয়েছিল, সেটা যেন কোনোভাবে বিপন্ন না হয়। দায়িত্বের জায়গা সম্মিলিতভাবে গ্রহণ করতে হবে, এককভাবে নয়। এ ব্যাপারে কোনরূপ শৈথিল্য দেখানোর সুযোগ নেই।
সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহ্ মো. ইমদাদুল হক ও শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক কাজী শামস্ আফরোজ, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. শেখ আজিজুর রহমানসহ মৎস্য অধিদফতর ও প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
- PM opens Southeast Asia`s largest fertiliser factory in Narsingdi
- Tk 12,500 announced as minimum wage for RMG workers
- PM vows to make leprosy free Bangladesh by 2030
- Bangladesh joins `50-in-5` campaign as first-mover country to implement DPI
- রাজধানীতে আজ চালু হলো ১০টি ইউটার্ন
- কৃষিপণ্য কেনাবেচার অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘ফুড ফর ন্যাশন’ উদ্বোধন করে
- বঙ্গবন্ধুর সাথে ছোট বেলার স্মরণীয় মধুর স্মৃতি
- আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলাঃ রাষ্ট্র বনাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
- ২৫তম পর্ব: কর্ডন প্রথার বিরুদ্ধে লড়াই
- প্রতিমন্ত্রী জানালেন বাড়তি বিদ্যুত বিল এলে যা করবেন