কোন টাকা খরচ হচ্ছে না, করোনা টিকা বিতরণের অ্যাপ তৈরিতে
নিউজ ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত
সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে ২৫ জানুয়ারি বাংলাদেশে করোনার টিকা আসবে। এই টিকা পেতে অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে হবে। অ্যাপটি তৈরি করতে সরকারের খরচ হচ্ছে ৯০ কোটি টাকা। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ।
আইসিটি বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ওই বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক দাবি করেন করোনার টিকার অ্যাপ তৈরিতে এক টাকাও খরচ হচ্ছে না।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্বাস্থ্য অধিদফতর কর্তৃক ভ্যাকসিনের সুষ্ঠু বিতরণ ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ‘সুরক্ষা’ সফটওয়্যার ও অ্যাপটি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদফতরের নিজ জনবল দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে। যেহেতু তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদফতরের নিজস্ব জনবল দিয়ে এই অ্যাপ তৈরি হচ্ছে সেহেতু এই সফটওয়্যার ও অ্যাপ তৈরিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ কিংবা স্বাস্থ্য অধিদফতরের কোনো অর্থ খরচ হবে না।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ সফটওয়্যারটি তৈরি করে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে স্বাস্থ্য অধিদফতরকে ব্যবহারের জন্য সরবরাহ করবে সুতরাং ‘সুরক্ষা’ সফটওয়্যার ও অ্যাপ তৈরিতে কোনো সরকারি খরচ নেই এবং এ বিষয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ কারো নিকট কোনো টাকাও দাবি করেনি।
এ বিষয়ে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, টিকাগ্রহীতাদের জন্য ডাটাবেজ তৈরিতে যে অ্যাপ তৈরি করা হচ্ছে তার জন্য টাকা খরচের খবরটি সঠিক নয়। আইসিটি বিভাগে একটি ডাটাবেজ সফটওয়্যার আগে থেকেই তৈরি আছে। সেই ডাটাবেজের ওপর ‘সুরক্ষা প্ল্যাটফর্ম’ তৈরি করা হবে। ওটাই হবে সেই অ্যাপ। আইসিটি বিভাগে কর্মরত প্রোগ্রামাররাই (ইনহাউজ প্রোগ্রামার) অ্যাপটি তৈরি করবেন। নিজেদের জনবল, অফিস, রিসোর্স ব্যবহার করে কাজটি করা হবে। ফলে এর জন্য কোনো টাকাই খরচ হবে না। কারণ কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে অ্যাপটি তৈরির জন্য আইসিটি বিভাগ হতে কার্যাদেশ দেয়া হয়নি।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদফতর কর্তৃক এর আগে সেন্ট্রাল এইড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিএএমএস) নিজস্ব জনবল দিয়ে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে তৈরি করা হয়েছিল। সিএএমএস সফটওয়্যারটি বিনামূল্যে তৈরি করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়কে ব্যবহারের জন্য সরবরাহ করা হয়। এ সফটওয়্যারটি ব্যবহারে অন্যান্য মন্ত্রণালয়/বিভাগের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আইসিটি বিভাগকে বলা হয়েছে যেহেতু একটা ডাটাবেজ রেডি আছে এবং সেটা পরীক্ষিত। ফলে ওই ডাটাবেজটি ব্যবহার করে সুরক্ষা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে।
তিনি বলেন, ভ্যাকসিন দিতে হলে গ্রহীতার বিভিন্ন তথ্য ও উপাত্ত (নাম, ঠিকানা, বয়স ইত্যাদি) থাকতে হবে। অনেক তথ্য ক্রস চেক করতে হবে। ফলে প্ল্যাটফর্ম একটা প্রয়োজন হবেই। এরই ধারাবাহিকতায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদফতরের তরুণ ও মেধাবী কর্মকর্তারা করোনা ভ্যাকসিন সুষ্ঠু বিতরণের লক্ষ্যে তাদের শতভাগ ডেডিকেশন, মেধা, সময় দিয়ে ‘সুরক্ষা’ সফটওয়্যারটি তৈরি করেছেন; যা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। সংশ্লিষ্ট সকলের অনুপ্রেরণা পেলে তারা এ ধরনের উদ্ভাবনী কাজ আরো করতে উৎসাহিত হবেন। তবে এ ধরনের বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচার করা হলে তরুণ মেধাবী কর্মকর্তারা নিরুৎসাহিত হতে পারেন এবং দেশের কল্যাণে নিত্যনতুন ইনোভেশন ও ডিজিটাল সার্ভিস কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে।
- PM opens Southeast Asia`s largest fertiliser factory in Narsingdi
- Tk 12,500 announced as minimum wage for RMG workers
- PM vows to make leprosy free Bangladesh by 2030
- Bangladesh joins `50-in-5` campaign as first-mover country to implement DPI
- রাজধানীতে আজ চালু হলো ১০টি ইউটার্ন
- কৃষিপণ্য কেনাবেচার অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘ফুড ফর ন্যাশন’ উদ্বোধন করে
- বঙ্গবন্ধুর সাথে ছোট বেলার স্মরণীয় মধুর স্মৃতি
- আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলাঃ রাষ্ট্র বনাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
- ২৫তম পর্ব: কর্ডন প্রথার বিরুদ্ধে লড়াই
- প্রতিমন্ত্রী জানালেন বাড়তি বিদ্যুত বিল এলে যা করবেন