শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা: ৭ আসামির জামিন স্থগিত
নিউজ ডেস্ক
ফাইল ছবি
সাতক্ষীরায় ২০০২ সালে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলায় সাজাপ্রাপ্ত ১৮ আসামির মধ্যে যে সাতজনের জামিন মঞ্জুর করেছিলেন হাইকোর্ট তা স্থগিতের আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে আজ সোমবার (২১ জুন) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ভার্চুয়াল আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এম আমিন উদ্দিন। আসামিপক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
হাইকোর্টে জামিনপ্রাপ্তরা হলেন আবদুস সাত্তার, গোলাস রসুল, আব্দুস সামাদ, জহিরুল ইসলাম, রাকিব, শাহাবুদ্দিন ও মনিরুল ইসলাম।
গত ২৫ মে ওই সাত আসামিকে জামিন দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি নিয়ে ২৭ মে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত জামিনের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন।
একইসঙ্গে শুনানির জন্য নিয়মিত বেঞ্চে পাঠানোর আদেশ দেন। সে অনুসারে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য এলে ৩০ মে রাষ্ট্রপক্ষকে তিন সপ্তাহের মধ্যে লিভ টু আপিল করতে বলা হয়। এ সময় পর্যন্ত হাইকোর্টের দেওয়া জামিনাদেশ স্থগিত থাকবে।
এ আদেশ অনুসারে রাষ্ট্রপক্ষ লিভ টু আপিল করেন। সে আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার আদেশ দেন আপিল বিভাগ।
২০০২ সালের ৩০ আগস্ট তৎকালিন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার হিজলদি গ্রামের এক মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিতা স্ত্রীকে দেখতে সদর হাসপাতালে যান। তিনি মাগুরায় ফেরার পথে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে কলারোয়া বিএনপি অফিসের সামনে তাঁর গাড়িবহরে হামলা ও ভাঙচুর চালান বলে অভিযোগ পাওয়া যায় সাতক্ষীরা-১ আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য বিএনপি নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
হামলায় শেখ হাসিনাসহ তাঁর গাড়ি বহরে থাকা লোকজন, আওয়ামী লীগ নেতা ও সাংবাদিকসহ অন্তত এক ডজন লোক আহত হন। ওই ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোসলেম উদ্দীন বাদী হয়ে উপজেলা যুবদল সভাপতি আশরাফ হোসেনসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৭০-৭৫ জনের নামে থানায় ব্যর্থ হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
বিভিন্ন আদালত ঘুরে হাইকোর্টের নির্দেশে এক যুগ পর ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর কলারোয়া থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়। এরপর ২০১৫ সালের ১৭ মে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাতক্ষীরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জনের নাম উলেখ করে ৩০ জনকে সাক্ষী করে পেনাল কোর্ট, অস্ত্র আইন ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে পৃথক তিনটি অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শেখ সফিকুর ইসলাম।
সাতক্ষীরা মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে বিচারাধীন পেনাল কোর্টের মামলাটি ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের পর এবং সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ-২য় আদালতে বিচারাধীন অস্ত্র আইনে ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা দুটির কার্যক্রম যথাক্রমে ২০১৭ সালের ৯ ও ২৩ আগস্ট আসামীপক্ষ হাইকোর্টে স্থগিত করেন।
গতবছর ৮ অক্টোবর ওই রুল খারিজ করে রায় দেন আদালত। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন রাকিবুর। এর পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ তিন মাসের মধ্যে নিম্ন আদালতে বিচার সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন। এরপর বিচার শেষে সাতক্ষীরার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত গত ৪ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় বিএনপির সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ তিনজনের সর্বোচ্চ ১০ বছর করে এবং বাকি ৪৭ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়ে রায় দেন। পরে আপিল এবং সবশেষে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন আসামিরা।
- কর্নেল (অবঃ) শহীদ উদ্দিন খানের যত অপকর্ম
- দুর্নীতিবাজ (অবঃ) কর্নেল শহীদকে সাধু বানানোর চেষ্টা কনক সারোয়ারের
- স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন আদায় স্থগিত চেয়ে রিট
- হাইকোর্টে স্থায়ী নিয়োগ পেলেন ১৮ বিচারপতি
- ভার্চুয়াল আদালতে শুনানিতে হাইকোর্টে তিন বেঞ্চ গঠন
- মুক্তি পেলেন ১৭০ কারাবন্দী
- আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসিত বাংলাদেশের শিশু আদালত
- সব জেলায় পিসিআর ল্যাব স্থাপনে রিট
- জনসমাগম দেখে মনে হয় না দেশে মহামারি আছে: হাইকোর্ট
- জঙ্গি সালেহীনের ফাঁসি বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ