বন রক্ষায় ডিজিটাল জরিপের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বন রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দেশের সব বনাঞ্চলের সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে অবিলম্বে ডিজিটাল জরিপ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তিনি এ নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারী বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এ বৈঠকে যোগ দেন। মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যরা বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী ভূমি মন্ত্রনালয় এবং পরিবেশ ও বন মন্ত্রনালয়ের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে অবিলম্বে সব বনের ডিজিটাল জরিপ করার নির্দেশ দিয়েছেন।” তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বনাঞ্চলের ভেতরে বর্তমানে বসবাসকারী লোকদের স্থায়ী বসতি স্থাপনের জন্য ডিজিটাল জরিপ শেষ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে স্থানীয় জনগণকে গাছের মালিকানায় অংশীদার করার মাধ্যমে বনায়নে সম্পৃক্ত করারও নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্থানীয় লোকজনকে বনভূমিতে বনায়নে নিয়োজিত করতে পারলে তারা বনের ক্ষতি করবে না।
টাঙ্গাইলের মদুবনগড়, শেরপুরের গারো পাহাড়, পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং সুন্দরবনসহ বিভিন্ন বনাঞ্চলে বসবাসকারী অনেক মানুষ বন সংক্রান্ত অনেক মামলায় জড়িয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন, এমনকি একজন ব্যক্তি ৪০ থেকে ৫০ টি মামলার মুখোমুখি হচ্ছেন।
মামলাগুলোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী জনগণকে স্বস্তি দেয়ার স্বার্থে কোনো যৌক্তিক ভিত্তি না থাকা মামলাগুলো পর্যালোচনা করে অবিলম্বে সেগুলো প্রত্যাহার করার সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন। জনগণ যাতে আর এ ধরণের মামলায় জড়াতে না পারে সে জন্য প্রচারণা চালানোর কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী।
মন্ত্রীসভা নীতিগতভাবে ৪৫,০০০-৪৬,০০০ একর জমির (ঢাকা ও টাঙ্গাইল জেলায়) আটিয়া বন রক্ষার জন্য আটিয়া বন (সংরক্ষণ) আইন-২০২১ এর খসড়া অনুমোদন করেছে। ‘আটিয়া বন (সুরক্ষা) অধ্যাদেশ ১৯৮২’ এর স্থলে প্রস্তাবিত আইনটি প্রতিস্থাপিত হবে’ উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আতিয়া বনকে প্রথম ১৯২০ এর দশকে একটি আইনের মাধ্যমে সংরক্ষিত বন ঘোষণা করা হয়েছিল। তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী বনের ক্ষতি করা জামিন অযোগ্য অপরাধ। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী প্রথমে আটিয়া বনে তারপর পর্যায়ক্রমে অন্যান্য বনে ডিজিটাল জরিপ করার কথা বলেন।
এছাড়াও মন্ত্রিসভা নীতিগতভাবে কপিরাইট আইন ২০২১ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে, এতে যে কোন কাজের মেধাস্বত্ব অধিকারের মেয়াদ হবে ষাট বছর।
মন্ত্রিসভা অবশ্য ড্রাগস অ্যাক্ট ২০২১ এর খসড়া অনুমোদন করেনি বরং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আরো পর্যালোচনা করতে বলেছে।
অন্যদিকে, কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী স্কুল শিক্ষার্থীদের ১ নভেম্বর থেকে ঢাকায় ১২টি কেন্দ্রে টিকাদান শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ক্যাম্পেইনের অধীনে সারা দেশে কেন্দ্রসংখ্যা বাড়ানোর জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন।
- PM opens Southeast Asia`s largest fertiliser factory in Narsingdi
- Tk 12,500 announced as minimum wage for RMG workers
- PM vows to make leprosy free Bangladesh by 2030
- Bangladesh joins `50-in-5` campaign as first-mover country to implement DPI
- রাজধানীতে আজ চালু হলো ১০টি ইউটার্ন
- কৃষিপণ্য কেনাবেচার অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘ফুড ফর ন্যাশন’ উদ্বোধন করে
- বঙ্গবন্ধুর সাথে ছোট বেলার স্মরণীয় মধুর স্মৃতি
- আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলাঃ রাষ্ট্র বনাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
- ২৫তম পর্ব: কর্ডন প্রথার বিরুদ্ধে লড়াই
- প্রতিমন্ত্রী জানালেন বাড়তি বিদ্যুত বিল এলে যা করবেন