কেন অজু ভেঙে যায় উটের গোশত খেলে ?
ইসলাম ডেস্ক
উট
আল্লাহর পথে চলতে তাঁর দেখানো পথ অবলম্বন করতে হবে। নইলে ইহকাল এবং পরকাল কোনো কালেই শান্তি পাওয়া যাবে না। তাই আমাদের সবার উচিত আল্লাহ ও নবী রাসূলের দেখানো সঠিক পথটি বেছে নেয়া। ইসলামের বিধিনিষেধ নিয়ে আমাদের অনেকের মনেই অনেক প্রশ্ন থাকে। তেমনই একটি প্রশনের উত্তর জানবো আজ।
প্রশ্ন: উটের গোশত খেলে অজু ভেঙে যায় কেন? এর কারণ কি?
উত্তর: উটের গোস্ত খেলে অজু ভেঙ্গে যায়। সালাত আদায় বা কুরআন স্পর্ষ করতে চাইলে পূণরায় অজু করতে হবে। এর কারণ হলো, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অজু করতে আদেশ করেছেেন।
এ বিষয়ে নিম্নে হাদীস প্রদান করা হলো-
জাবের বিন সামুরা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে জিজ্ঞেস করা হলো, আমরা কি ছাগলের মাংস খেয়ে অজু করব? তিনি বললেন, যদি চাও তো করতে পার। বলা হলো, আমরা উটের মাংস খেয়ে কি অজু করব? তিনি বললেন, “হ্যাঁ”। (সহীহ মুসলিম)
তিনি আরো বলেন, “উটের গোশত খেলে তোমরা অজু করো।” (মুসনাদ আহমদ, সুনান আবূদাঊদ, সুনান তিরমিযী, সুনান ইবনে মাজাহ্, সহীহুল জামে ৩০০৬ নং)
নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন ছাগলের মাংস খেয়ে অজু করার বিষয়টি মানুষের ইচ্ছাধীন রেখেছেন, তখন বুঝা যায় উটের গোশত খেয়ে অজুর ব্যাপারে মানুষের কোনো ইচ্ছা স্বাধীনতা নেই। অবশ্যই অজু করতে হবে।
অতএব উটের গোশত কাঁচা হোক বা রান্না হোক কোনো পার্থক্য নেই, গোশত লাল বর্ণ হোক বা অন্য বর্ণ খেলেই অজু ভঙ্গ হবে। উটের নাড়ী-ভুঁড়ি, কলিজা, হৃতপিণ্ড, চর্বি, মোটকথা উটের যেকোনো অংশ ভক্ষণ করলে অজু ভঙ্গ হবে। কেননা রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক্ষেত্রে কোনো পার্থক্য বর্ণনা করেন নি। অথচ তিনি জানতেন মানুষ উটের সব অংশ থেকেই খেয়ে থাকে।
- যে দোয়া পড়লে মাথা ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়
- যে দোয়া পড়বেন রোগীর সুস্থতার জন্য
- কুরআন-হাদিসের আলোকে জেনে নিন কুরবানির ইতিহাস
- রাসুল (সা.)-এর কবর খনন করেন যিনি
- অহংকার পতনের মূল
- সর্বোত্তম খাবার ও উপার্জন
- মু’আয বিন জাবাল (রা.)কে মহানবী (সা.)-এর ১০ উপদেশ
- খারাপ স্বপ্ন দেখলে রাসুল (সা.) যে আমল করতে বলেছেন
- যেসব ছোট আমলে বেশি নেকি
- নামাজ না পড়লে দুনিয়ার যেসব শাস্তি অনিবার্য