কোটালীপাড়ায় শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র: ১৪ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড
নিউজ ডেস্ক
ছবি : সংগৃহীত
প্রায় ২১ বছর আগে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে সমাবেশের পাশে ৭৬ কেজি ওজনের বোমা রাখার ঘটনায় করা ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় ১৪ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় দেন।
১১ মার্চ মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ ১৪ আসামির সবার মৃত্যুদণ্ড চেয়েছিল। পরে আদালত রায় ঘোষণার জন্য ২৩ মার্চ দিন ধার্য করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মফিজুর রহমান, মাহমুদ আজহার, রাশেদুজ্জামান, তারেক, ওয়াদুদ শেখ ওরফে গাজী খান, আজিজুল হক, লোকমান, ইউসুফ ওরফে মোছহাব মোড়ল, মোছহাব হাসান ওরফে রাশু, শেখ মো. এনামুল হক, আনিসুল ইসলাম, সারোয়ার হোসেন, আমিরুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম খান।
এর আগে মঙ্গলবার আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণাকে ঘিরে আদালত ও তার আশপাশের এলাকায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়। এ ঘটনায় তিনটি মামলার মধ্যে দুটি মামলার রায় বিচারিক আদালতে আগেই হয়।
২০০০ সালের ২২ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শেখ লুৎফর রহমান সরকারি আদর্শ কলেজে স্থাপিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভার প্যান্ডেল তৈরির সময় শক্তিশালী একটি বোমা দেখা যায়। তখন ৭৬ কেজি ওজনের সেই বোমা উদ্ধার করা হয়। পরদিন ৪০ কেজি ওজনের আরেকটি বোমা উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় কোটালীপাড়া থানায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা, হত্যার ষড়যন্ত্র ও বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করে।
২০১৭ সালের ২০ আগস্ট বিচারিক আদালত হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় রায় দেন। রায়ে ১০ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড এবং ১৩ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডের আদেশ দেয় আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত সবাই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশের (হুজি-বি) নেতাকর্মী।
চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি হত্যাচেষ্টা মামলায় আপিলের রায়ে ১০ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন হাইকোর্ট। এছাড়া বহাল রাখা হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামি ও ১৪ বছর দণ্ডিত দুই আসামির সাজাও। ১৪ বছর দণ্ডিত অপর এক আসামিকে খালাস দিয়েছেন উচ্চ আদালত।
অপরদিকে, ২০০১ সালের ১৫ নভেম্বর হত্যার ষড়যন্ত্রের মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ২০০৪ সালে আদালত ১৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে। বিচারকার্য চলার সময় রাষ্ট্রপক্ষে ৫০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৪ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছিল।
- কর্নেল (অবঃ) শহীদ উদ্দিন খানের যত অপকর্ম
- দুর্নীতিবাজ (অবঃ) কর্নেল শহীদকে সাধু বানানোর চেষ্টা কনক সারোয়ারের
- স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন আদায় স্থগিত চেয়ে রিট
- হাইকোর্টে স্থায়ী নিয়োগ পেলেন ১৮ বিচারপতি
- ভার্চুয়াল আদালতে শুনানিতে হাইকোর্টে তিন বেঞ্চ গঠন
- মুক্তি পেলেন ১৭০ কারাবন্দী
- আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসিত বাংলাদেশের শিশু আদালত
- সব জেলায় পিসিআর ল্যাব স্থাপনে রিট
- জনসমাগম দেখে মনে হয় না দেশে মহামারি আছে: হাইকোর্ট
- জঙ্গি সালেহীনের ফাঁসি বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ