চট্টগ্রামে শুরু হতে যাচ্ছে বার্ন ইউনিটের নির্মাণ কাজ
নিউজ ডেস্ক
চট্টগ্রামে শুরু হতে যাচ্ছে বার্ন ইউনিটের নির্মাণ কাজ
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে শয্যা আছে ২৬টি। চট্টগ্রাম বিভাগের প্রায় ৪ কোটি মানুষের মধ্যে আগুনে দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসায় ভরসা এ ২৬টি শয্যা হাসপাতাল। তাছাড়া সংকটাপন্ন রোগীদের নিয়ে যেতে হয় ঢাকায়। ফলে দগ্ধ রোগীদের নিয়ে শঙ্কায় পড়তে হয়।
তবে এবার চমেক হাসপাতালে নির্মাণ করা হচ্ছে ১৫০ শয্যার পৃথক ও স্বয়ংসম্পূর্ণ ‘বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট’। স্থান জটিলতাসহ নানা কারণে বিলম্ব হওয়া প্রকল্পটি অবশেষে শুরু হতে যাচ্ছে। আগামী জুলাই মাসে বার্ন ইউনিটের কাজ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। কিছুদিন আগে চীনের অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধি দল এসেছিল। তারা হাসপাতাল নির্মাণের জন্য নির্ধারিত জায়গা প্রস্তুত আছে কি না তা দেখে গেছেন। সে অনুযায়ী নকশাও প্রস্তুত করা হয়েছে। জানা যায়, নগরের চট্টেশ্বরী সড়কের চমেক হাসপাতালের প্রধান ছাত্রাবাসের উত্তর পাশে (গোয়াছি বাগান) নির্মাণ করা হবে বার্ন ইউনিট। প্রায় ১৮১ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৫০ শয্যার এই বার্ন ইউনিটে থাকবে বহির্বিভাগ, আন্তবিভাগ, জরুরি বিভাগ, ১০টি আইসিইউ বেড, পুরুষ ও নারীদের জন্য পৃথক ১০টি করে ২০টি এইচডিইউ বেড এবং শিশুদের জন্য পাঁচটি এইচডিইউ বেড। বার্ন ইউনিটের জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের মেডিকেল যন্ত্রপাতি ও আসবাবপত্র চীন সরকার অনুদান সহায়তা হিসেবে দেবে। চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বলেন, চীনা অর্থায়নে বাস্তবায়িত হবে বার্ন ইউনিট। ইতোমধ্যে দাফতরিক নানা কাজ শেষ হয়েছে। তাই আশা করি, আগামী জুলাই মাসে কাজ শুরু করা যাবে। কাজ শুরুর পর ২৪ মাসের মধ্যে শেষ করার আশা করছি। সব ধরনের সুবিধা থাকবে বিশেষায়িত বার্ন ইউনিটটিতে।
চমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সরকারের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর চমেক হাসপাতাল এলাকায় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সম্ভাব্য জমি পরিদর্শনে আসে চীন সরকারের একটি প্রতিনিধি দল। তখন বার্ন ইউনিটের জন্য হাসপাতালের পেছনের খালি জমি নির্ধারণ করা হয়। ২০১৮ সালের ২৮ মার্চ বাংলাদেশের চীনা দূতাবাস বিশেষায়িত বার্ন ইউনিট করার আগ্রহ প্রকাশ করে। প্রায় ৪ হাজার বর্গফুট জমিতে চার তলাবিশিষ্ট বিশেষায়িত ইউনিটটি নির্মাণের নকশাও তৈরি করা হয়। কিন্তু নির্ধারিত স্থানে প্রয়োজনের তুলনায় কম জমি থাকায় জটিলতা সৃষ্টি হয়। জটিলতা নিরসনে ২০১৯ সালের ১৫ মার্চ চীনা প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করে চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তখন সুরাহা না হওয়ায় মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন চীনের প্রতিনিধিরা। পরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ও একাধিকবার আলোচনা করে প্রকল্পের নকশা পরিবর্তনের বিষয়ে চীন কর্তৃপক্ষকে রাজি করাতে পারেনি। ২০২০ সালের জুলাইয়ে চীন সরকারের পক্ষ থেকে চট্টগ্রামে ‘বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ বার্ন হাসপাতাল’ নির্মাণের বিষয়ে আবারও প্রস্তাব দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত। এর ভিত্তিতে চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সম্ভাব্য চারটি স্থানের প্রস্তাব দেয়। ২০২২ সালের জুনে সীতাকুন্ডের বিএম ডিপোতে ভয়াবহ আগুনের পর একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ বার্ন ইউনিট নির্মাণের বিষয়ে জোরালো আলোচনা হয়। ওই বছরের ১১ জুন চীনা প্রতিনিধি দলের দুই প্রকৌশলী প্রস্তাবিত জমি পরিদর্শন করে গোয়াছি বাগানের জায়গাটি পছন্দ করেন।
- PM opens Southeast Asia`s largest fertiliser factory in Narsingdi
- Tk 12,500 announced as minimum wage for RMG workers
- PM vows to make leprosy free Bangladesh by 2030
- Bangladesh joins `50-in-5` campaign as first-mover country to implement DPI
- রাজধানীতে আজ চালু হলো ১০টি ইউটার্ন
- কৃষিপণ্য কেনাবেচার অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘ফুড ফর ন্যাশন’ উদ্বোধন করে
- বঙ্গবন্ধুর সাথে ছোট বেলার স্মরণীয় মধুর স্মৃতি
- আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলাঃ রাষ্ট্র বনাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
- ২৫তম পর্ব: কর্ডন প্রথার বিরুদ্ধে লড়াই
- প্রতিমন্ত্রী জানালেন বাড়তি বিদ্যুত বিল এলে যা করবেন