চট্টগ্রামের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এখন দৃশ্যমান
নিউজ ডেস্ক
চট্টগ্রামের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এখন দৃশ্যমান
দিনক্ষণ ঠিক না হলেও চট্টগ্রামের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু করার কথা চলছে। প্রায় ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এক্সপ্রেসওয়ে এখন দৃশ্যমান। এ উড়াল সড়কের ৪ লেনের মধ্যে দুই লেন অনেকটা প্রস্তুত। বাকি দুই লেনে চলছে বৈদ্যুতিক পোল স্থাপনসহ নানা ধরনের ফিনিশিং কাজ।
তবে যান চলাচলের জন্য শীঘ্রই খুলে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হলেও এর পূর্ণাঙ্গ সুবিধা পেতে সময় লেগে যাবে আরও এক বছরের বেশি। কারণ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠানামার ১৫টি র্যাম্পের কাজ ‡[RTF bookmark start: }_GoBack[RTF bookmark end: }_GoBackkl হয়নি। এ ১৫টি র্যাম্প নির্মাণে সময় লাগবে প্রায় দেড় বছর।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু হলে মহানগরীর লালখানবাজার থেকে পতেঙ্গায় শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর পর্যন্ত যেতে সময় লাগবে মাত্র ২০ মিনিট।
ভোগান্তি হ্রাস এবং পুরো মহানগরীকে যানজট থেকে রক্ষায় নির্মাণ করা হয়েছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। প্রয়াত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নামে এ উড়াল সড়ক গত বছরের ১৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এটি নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ৪ হাজার ৩শ কোটি টাকা।
চউক সূত্র জানায়, মন্ত্রণালয় থেকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহনের টোলের হার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চলবে। এজন্য সিসি ক্যামেরা এবং গাড়ি নিয়ন্ত্রণে স্পিড ক্যামেরাও স্থাপন করা হবে। যা নিয়ন্ত্রণ করবে নগর পুলিশ।
এদিকে, চউকের প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দিতে আমাদের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি রয়েছে চলতি মাসে। তবে এখনো বৈদ্যুতিক বাতিগুলো আসেনি। বাতি স্থাপন করতে পারলেই চলতি মাসেই যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এই উড়াল সড়ক। কারণ বাতি না থাকলে রাতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমরা চাই না কোনো অঘটন ঘটুক। তাই বাতি স্থাপন শেষে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু করা হবে, যাতে চালকেরা নির্বিঘেœ এ সড়ক ব্যবহার করতে পারেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে একনেকে অনুমোদন হওয়ার সময় ৩ হাজার ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রকল্পটি তিন বছরের মধ্যে সম্পন্ন করার পরিকল্পনা নেওয়া হলেও কাজ শুরু করতে বিলম্ব হয়। এরপর ২০১৮ সালের মাঝে কাজ শুরু হলেও নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয় পরের বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কাজের উদ্বোধন করেন। এর মধ্যে ২০২২ সালে নকশা ‘সংশোধন’ করে আরও এক হাজার ৪৮ কোটি টাকা ব্যয় বৃদ্ধি করা হয়। একইসঙ্গে বাড়ানো হয় প্রকল্পের মেয়াদ। যা এ বছরের জুনে শেষ হওয়ার কথা।
এর মধ্যে ১৫টি র্যাম্প নির্মাণ এখনো হয়নি। ফলে প্রকল্পটির মেয়াদ আরও বাড়বে বলছেন সংশ্লিষ্টরা। খোদ চউক জানিয়েছে, আগামী বছর শেষে পূর্ণাঙ্গ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সুফল পাবে নগরবাসী। ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এ উড়াল সড়কটি বিমান বন্দর এলাকা থেকে শুরু হয়ে ইপিজেড-চট্টগ্রাম বন্দর-বারিক বিল্ডিং-আগ্রাবাদ চৌমুহনী, দেওয়ানহাট রেলসেতুর পশ্চিম পাশ দিয়ে পাহাড় ঘেঁষে টাইগারপাস মোড় হয়ে লালখান বাজার মোড় পেরিয়ে ওয়াসার মোড়ে আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারে গিয়ে মিলবে।
এ উড়াল সড়কে ওঠা-নামার জন্য ১৫টি র্যাম্প করছে চউক। এর মধ্যে চারটি আগ্রাবাদে। সেগুলো হলো আগ্রাবাদ জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘর সড়কে একটি, চেম্বার সড়কে একটি এবং আগ্রাবাদ এক্সেস সড়কে হবে দুটি। টাইগারপাস, নিমতলা, সিইপিজেড ও কেইপিজেড এলাকায় র্যাম্প থাকছে দুটি করে। এ ছাড়া জিইসি মোড় হোটেল, ফকিরহাটে ও সিমেন্ট ক্রসিং এলাকায় থাকছে একটি করে র্যাম্প।
- PM opens Southeast Asia`s largest fertiliser factory in Narsingdi
- Tk 12,500 announced as minimum wage for RMG workers
- PM vows to make leprosy free Bangladesh by 2030
- Bangladesh joins `50-in-5` campaign as first-mover country to implement DPI
- রাজধানীতে আজ চালু হলো ১০টি ইউটার্ন
- কৃষিপণ্য কেনাবেচার অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘ফুড ফর ন্যাশন’ উদ্বোধন করে
- আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলাঃ রাষ্ট্র বনাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
- বঙ্গবন্ধুর সাথে ছোট বেলার স্মরণীয় মধুর স্মৃতি
- ২৫তম পর্ব: কর্ডন প্রথার বিরুদ্ধে লড়াই
- প্রতিমন্ত্রী জানালেন বাড়তি বিদ্যুত বিল এলে যা করবেন