জন্মের পরই ঈসা (আ.) এর কথা বলার ঘটনা
নিউজ ডেস্ক
জন্মের পরই ঈসা (আ.) এর কথা বলার ঘটনা
ইসলামের ইতিহাসে দোলনা থেকেই কথা বলেছেন তিন শিশু। প্রথমজন ঈসা (আ.)। দ্বিতীয়জন জুরাইজ নামে বনি ইসরাইলের এক লোক। তৃতীয়জন বনি ইসরাইলের এক শিশু।
মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলার বান্দা ও তার প্রেরিত রাসূল ঈসা (আ.)। রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলা আপন শক্তিতে পিতা ছাড়া তাকে দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনুর কারিমে ইরশাদ করেন, ‘যখন ফেরেশতাগণ বলল, হে মারইয়াম! আল্লাহ তোমাকে তার এক বাণীর সুসংবাদ দিচ্ছেন, যার নাম হলো মসীহ-ঈসা ইবনে মারইয়াম; দুনিয়া ও আখিরাতে তিনি মহাসম্মানের অধিকারী এবং আল্লাহর ঘনিষ্ঠদের অন্তর্ভুক্ত হবেন। যখন তিনি মায়ের কোলে থাকবেন এবং পূর্ণ বয়স্ক হবেন, তখন তিনি মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন। আর তিনি সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত হবেন। তিনি বললেন, পরওয়ারদেগার! কেমন করে আমার সন্তান হবে; আমাকে তো কোনো পুরুষ-মানুষ স্পর্শ করেনি। বললেন, এভাবেই। আল্লাহ যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন। তিনি যখন কোনো কাজ করার জন্য ইচ্ছা করেন তখন বলেন যে, ‘হয়ে যাও’, অমনি তা হয়ে যায়।’ (সূরা: আলে ইমরান, আয়াত: ৪৫-৪৭)
এ ছাড়া আল্লাহ তাআলা ঈসা (আ.) ও তার সম্মানিত মা মারইয়াম (আ.) সম্পর্কে সূরা মারইয়ামে বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, (বনি ইসরাঈলের মধ্যে) তিন ব্যক্তি ছাড়া আর কেউই দোলনায় কথা বলেনি। (১) ঈসা ইবনে মারইয়াম। মারইয়াম (আ.) এর গর্ভে ঈসা (আ.) অলৌকিকভাবে জন্মগ্রহণ করলে লোকজন তার ব্যাপারে সন্দিহান হলো। তখন মারইয়াম (আ.) এর ইঙ্গিতে ঈসা (আ.) তার মাতার পক্ষ থেকে জবাব দিয়ে বললেন, ‘আমি আল্লাহর বান্দা’। তিনি আমাকে কিতাব (ইনজিল) দান করেছেন এবং আমাকে নবী করেছেন। আমি যেখানেই থাকি, তিনি আমাকে বরকতময় করেছেন। তিনি আমাকে জোরালো নির্দেশ দিয়েছেন যত দিন জীবিত থাকি, তত দিন সালাত ও জাকাত আদায় করতে এবং আমার মায়ের অনুগত থাকতে। আল্লাহ আমাকে উদ্ধত ও হতভাগা করেননি। আমার প্রতি শান্তি যেদিন আমি জন্মগ্রহণ করেছি, যেদিন আমি মৃত্যুবরণ করব এবং যেদিন জীবিত পুনরুত্থিত হবো’। (সূরা: মারিয়াম, আয়াত: ২৯-৩৩)
- যে দোয়া পড়লে মাথা ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়
- যে দোয়া পড়বেন রোগীর সুস্থতার জন্য
- কুরআন-হাদিসের আলোকে জেনে নিন কুরবানির ইতিহাস
- রাসুল (সা.)-এর কবর খনন করেন যিনি
- অহংকার পতনের মূল
- সর্বোত্তম খাবার ও উপার্জন
- মু’আয বিন জাবাল (রা.)কে মহানবী (সা.)-এর ১০ উপদেশ
- খারাপ স্বপ্ন দেখলে রাসুল (সা.) যে আমল করতে বলেছেন
- যেসব ছোট আমলে বেশি নেকি
- নামাজ না পড়লে দুনিয়ার যেসব শাস্তি অনিবার্য