ঢাকা, রোববার   ১৯ মে ২০২৪ ||  জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

জুমার দিনের ফজিলত

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:৫৫, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩  

জুমার দিনের ফজিলত

জুমার দিনের ফজিলত

মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনুল কারিমে বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর অনুগ্রহ গণনা করতে চাইলে কক্ষনো তার সংখ্যা নির্ধারণ করতে পারবে না’। (সূরা: ইব্রাহিম, আয়াত: ৩৪)

আর উক্ত অনুগ্রহগুলোর মধ্যে দ্বীনি এবং দুনিয়াবি এমন অনেক বিষয় আছে, উম্মতে মোহাম্মদী হিসেবে যা একমাত্র আমরাই পেয়েছি। অন্য নবীর উম্মতরা পাননি। তন্মধ্যে একটি হলো জুমার দিন। হাদিস শরিফে এই দিনের অনেক ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। যেমন-জুমার দিন শুধু এই উম্মতের বৈশিষ্ট্য: হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আমাদের পূর্ববর্তী উম্মতকে জুমার দিন সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা অজ্ঞ রেখেছেন। ইহুদিদের ফজিলতপূর্ণ দিবস ছিল শনিবার। খ্রিষ্টানদের ছিল রোববার। অতঃপর আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে দুনিয়ায় পাঠালেন এবং জুমার দিনের ফজিলত দান করলেন। সিরিয়ালে শনি ও রোববারকে শুক্রবারের পরে রাখলেন। দুনিয়ার এই সিরিয়ালের মতো কেয়ামতের দিনও ইহুদি খ্রিষ্টানরা মুসলমানদের পরে থাকবে। আমরা উম্মত হিসেবে সবার শেষে এলেও কেয়ামতের দিন সব সৃষ্টির আগে থাকব (মুসলিম-১৪৭৩)

জুমার দিন দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ দিন: আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজী (সা.) বলেছেন, পৃথিবীর যত দিন সূর্য উদিত হবে তার মধ্যে শ্রেষ্ঠ দিন হলো শুক্রবার। এ দিনে আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছে। এ দিনেই তাকে জান্নাত থেকে বের করা হয়েছিল। সর্বশেষ কেয়ামত সংঘটিত হবে শুক্রবার দিনে (মুসলিম-৮৫৪)

সপ্তাহের সেরা দিন: রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, জুমার দিন দিবসসমূহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ এবং তা আল্লাহর নিকট অধিক সম্মানিত (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১০৮৪)

শুক্রবার মুসলমানদের ঈদের দিন: রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, এই দিন অর্থাৎ জুমার দিনকে আল্লাহ তাআলা মুসলমানদের জন্য ঈদের দিন বানিয়েছেন (সহিহ ইবনে মাজাহ-৯০৮)

গুনাহ মাফের দিন: রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করে উত্তম পোশাক পরিধান করবে এবং সুগন্ধি ব্যবহার করবে, যদি তার নিকট থাকে। তারপর জুমার নামাজে আসে এবং অন্য মুসল্লিদের গায়ের ওপর দিয়ে টপকে সামনের দিকে না যায়। নির্ধারিত নামাজ আদায় করে। তারপর ইমাম খুতবার জন্য বের হওয়ার পর থেকে সালাম পর্যন্ত চুপ করে থাকে। তাহলে তার এই আমল পূর্ববর্তী জুমার দিন থেকে পরের জুমা পর্যন্ত সব সগিরা গুনাহের জন্য কাফ্ফারা হবে (আবু দাউদ, হাদিস: ৩৪৩)

প্রতি কদমে এক বছরের নেকি লাভ: রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিনে উত্তমরূপে গোসল করে আগে আগে মসজিদে যায় এবং বাহনে না চড়ে হেঁটে যায়। ইমামের কাছাকাছি বসে মনোযোগ দিয়ে ইমামের আলোচনা শোনে, অনর্থক কাজ না করে, তবে তার প্রতি কদমের বিনিময়ে আল্লাহ তায়ালা এক বছর সিয়াম ও কিয়ামের সাওয়াব দান করেন (তিরমিজি-হাদিস: ৪৫৬)

কবরের আজাব থেকে নাজাত: হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, কোনো মুসলমান শুক্রবারে রাতে কিংবা দিনে ইন্তেকাল করলে আল্লাহ তাআলা তাকে কবরের আজাব থেকে রক্ষা করবেন। (তিরমিজি-১০৭৪)

সর্বশেষ
জনপ্রিয়