ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

তাইওয়ানের আকাশে অনুপ্রবেশ করেছে চীনের ১৯ টি যুদ্ধবিমান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:২৫, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

চীন ১৯ টি যুদ্ধবিমানের বড় বহর নিয়ে তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা সীমানায় অনুপ্রবেশ করেছে বলে অভিযোগ করেছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এইসব বিমানের মধ্যে পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম বোমারু বিমানও ছিল বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, তাদের আকাশসীমায় প্রবেশ করা যুদ্ধবিমানগুলোর মধ্যে চারটি এইচ–৬ বোমারু বিমান ছিল। সেগুলো পারমাণবিক অস্ত্র বহন করতে সক্ষম। এ ছাড়া বিমানগুলো সাবমেরিন ধ্বংস করতেও ব্যবহার করা হয়। চীনা উড়োজাহাজগুলো তাইওয়ানের প্রাতাস দ্বীপের উত্তর–পূর্ব অঞ্চলের ওপর দিয়ে উড়ে যায়। সেগুলোর যাত্রাপথের একটি মানচিত্রও প্রকাশ করেছে তাইওয়ান।

অনুপ্রবেশের পর চীনের যুদ্ধবিমানগুলোকে সতর্ক করতে তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার ক্ষেপণাস্ত্রগুলো তৈরি রাখা হয়েছিল বলে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। পাশাপাশি দেশটির কয়েকটি ফাইটার বিমানও পাঠানো হয়। যদিও এসব নিয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি চীন।

বেশ আগে থেকেই তাইওয়ানের আকাশসীমায় চীনা যুদ্ধবিমানের অনুপ্রবেশ নিয়ে অভিযোগ করা হচ্ছে। সবশেষ গত জুনে তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষাসীমানায় চীনের ২৮টি সামরিক বিমান অনুপ্রবেশ করেছিল।

তাইওয়ানের আকাশে সেটিই ছিল চীনা যুদ্ধবিমানের সবচেয়ে বড় অনুপ্রবেশের ঘটনা। তার আগে জানুয়ারিতে চীনের ১৫ টি যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা সীমায় ঢুকে পড়েছিল। আর ১২ এপ্রিলে ২৫ টি চীনা যুদ্ধবিমানের আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছিল তাইওয়ান।

তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে মনে করে চীন। তাই এর নিয়ন্ত্রণ নিতে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। কিন্তু তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবেই দাবি করে আসছে। অধিকাংশ তাইওয়ানবাসীও চীনের অধীন থাকার আগ্রহ দেখায় না। তবে চীনের বিরাগভাজন হওয়ার ভয়ে তাইওয়ানকে কূটনৈতিক স্বীকৃতি দেওয়া দেশ কম। এদিকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তাইওয়ানকে সমর্থন দিয়ে ও অস্ত্র সরবরাহ করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে তারাও দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেনি।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়