ঢাকা, শুক্রবার   ০৩ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২০ ১৪৩১

বাংলাদেশিদের জন্য ভ্রমণ ফি কমানোর আশ্বাস ভুটানের

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:৫২, ২১ এপ্রিল ২০২৪  

বাংলাদেশিদের জন্য ভ্রমণ ফি কমানোর আশ্বাস ভুটানের

বাংলাদেশিদের জন্য ভ্রমণ ফি কমানোর আশ্বাস ভুটানের

বাংলাদেশি পর্যটকদের ভুটানে ভ্রমণের ক্ষেত্রে ভ্রমণ ফি কমাতে অনুরোধ জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। গতকাল ভুটানের থিম্পুতে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে তৃতীয় ফরেন অফিস কনসালটেশন-এফওসি-তে এ অনুরোধ করেন তিনি। বিষয়টিকে ইতিবাচক বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছে ভুটান। এফওসিতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের পুরো বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।

ভুটান প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন দেশটির পররাষ্ট্র সচিব পেমা চোডেন। সভায় দুই দেশের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা এবং ভুটানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শিব নাথ রায় উপস্থিত ছিলেন।

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, উভয় পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করে পারস্পরিক স্বার্থের সব প্রধান ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন। বিশেষ করে ব্যবসা-বাণিজ্য, স্বাস্থ্য, বিনিয়োগ, সংযোগ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, পর্যটন, সংস্কৃতি এবং শিক্ষাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে সম্মত হন। ভুটানকে বিবিআইএন কাঠামোতে পুনরায় যোগ দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান মাসুদ বিন মোমেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যটকদের জন্য উন্নয়ন ফি প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন এবং বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য বর্তমান এসডিএফ কমানোর অনুরোধ করলে ভুটান বিষয়টি নিয়ে ইতিবাচক বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছে। দুই পক্ষ পর্যটন বৃদ্ধি এবং দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছে। উভয় পররাষ্ট্র সচিব ভুটানের রাজার সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফরের সময় গৃহীত সিদ্ধান্ত এবং সমঝোতা স্মারকগুলোর দ্রুত বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে আলোচনা করেন। ভুটানের পররাষ্ট্র সচিব অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং শিক্ষাগত ক্ষেত্রে অব্যবহৃত সম্ভাবনার অন্বেষণের ওপর জোর দেন এবং অর্থপূর্ণ সহযোগিতামূলক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব করেন। তিনি উল্লেখ করেন, ভুটান বাংলাদেশের সঙ্গে আরও বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা এগিয়ে নিতে চায়। ভুটানের পররাষ্ট্র সচিব দুই দেশের মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে সফর বিনিময়ের ওপর জোর দেন। উভয় পররাষ্ট্র সচিব পারস্পরিক স্বার্থের আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে উভয় দেশ সার্ক ও বিমসটেক প্রক্রিয়াকে পুনরুজ্জীবিত করতে কাজ করে যাবে।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়