বিএনপি নেতারা ঘুষ দিয়ে পদ বাগাতে চায়

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:১৩, ৩০ জুন ২০২১

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির তিনটি শূন্যপদের জন্য লবিং-গ্রুপিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য। অনেকেই কমিটিতে স্থান পাইয়ে দেয়ার জন্য দলটির কয়েকজন সিনিয়র নেতাকে অর্থ-বিত্ত, ফ্ল্যাট এমনকি গাড়ি উপহার দেয়ার মতো প্রলোভনও দিচ্ছেন পদপ্রার্থী দ্বিতীয় সারির একাধিক নেতা।

বিএনপির অন্তত দুজন নেতার সঙ্গে কথা বলে এমন প্রেক্ষাপটের বিষয়ে জানা গেছে। এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ একজন নেতা বলেন, স্থায়ী কমিটির তিনটি পদ নিয়ে দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে চলছে নানা হিসাব-নিকাশ।

তিনি আরো বলেন, তারেক রহমানের সঙ্গে ভালো খাতির থাকায় এখন পর্যন্ত ৫ জন জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য গত কদিন ধরে ধর্না দিচ্ছেন। দুঃখজনক হলেও সত্য, যোগ্যতা ও জ্যেষ্ঠতা না থাকা সত্ত্বেও তারা স্থায়ী কমিটির সদস্য হওয়ার জন্য আমাকে অর্থ-বিত্ত, ফ্ল্যাট এমনকি দামি গাড়ি উপহার দেয়ারও প্রলোভন দিয়েছেন। বিষয়টি দুঃখজনক।

দলের স্থায়ী কমিটির পুনর্গঠন ও প্রত্যাশা সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএনপি চেয়ারপারসনের এক উপদেষ্টা আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, বিএনপি লিমিটেডের সম্মানিত চেয়ারম্যান যাকে যুতসই মনে করবেন তাকেই ডিরেক্টর নিযুক্ত করবেন। সে বিবেচনায় পর্যায়ক্রমে গুলশান কার্যালয়ের শামসুর রহমান, শিমুল বিশ্বাস, আব্দুস সাত্তার, ফাতেমা বেগম কিংবা নয়াপল্টনের রেজাউল করিমও যদি দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য হন, তাতে অবাক হওয়ার কিছু নাই। বিএনপি তো ইচ্ছাধারী নেতাদের দলে পরিণত হয়েছে।

পদ পেতে উৎকোচ ও ধর্নার বিষয়ে জানতে চাইলে স্থায়ী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার বলেন, যেকোনো কমিটিতে পদ পেতে নেতা-কর্মীরা তো সব সময় উদগ্রীব থাকেন। আর স্থায়ী কমিটির পদ পাওয়া তো নেতাদের জন্য স্বপ্ন পূরণের সমান হবে। তাই হয়তো অনেকেই বিভিন্ন জায়গায় চেষ্টা-তদবির, লবিং করছেন।

তিনি আরো বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তার বিশেষ ক্ষমতাবলে পদ বিতরণ করতে পারেন। এখানে স্থায়ী কমিটির সদস্যদের বেশি কিছু করার সুযোগ নেই। আসলে যাদের যোগ্যতা কম তারাই এই ধরণের অনৈতিক কাজ করে থাকেন। একটি পদের জন্য কোটি কোটি টাকা ঘুষ না দিয়ে এই টাকা আন্দোলন সংগ্রামের পেছনে খরচ করলে আজকে বেগম জিয়াকে জেলে থাকতে হতো না।