ঢাকা, শনিবার   ০৪ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২০ ১৪৩১

বিএনপির কোনও নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মামলা দেওয়া হচ্ছে না : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:৫৬, ২১ এপ্রিল ২০২৪  

বিএনপির কোনও নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মামলা দেওয়া হচ্ছে না : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বিএনপির কোনও নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মামলা দেওয়া হচ্ছে না : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ চুরি-ডাকাতি ছিনতাইসহ অন্যান্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অপরাধে গ্রেপ্তার হয়। বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ও রিজভী সাহেবরা গ্রেপ্তারের যে হিসাব দিচ্ছেন, তাতে মনে হচ্ছে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে গ্রেপ্তারকৃতরাও বিএনপির কর্মী।

তিনি বলেন, বিএনপির কোনও নেতা কিংবা কর্মীর বিরুদ্ধে কোনও রাজনৈতিক মামলা দেওয়া হয় না। তাদের বিরুদ্ধে যে মামলাগুলো হয়েছে, সেগুলো গাড়ি পোড়ানোর মামলা, পুলিশের এবং মানুষের ওপর হামলার মামলা, এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মামলা।

গতকাল শনিবার (২০ এপ্রিল) চট্টগ্রাম নগরের পলো গ্রাউন্ড মাঠে চিটাগাং উইম্যান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির উদ্যোগে আয়োজিত ১৪তম আন্তর্জাতিক উইম্যান এসএমই এক্সপোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। 

বিএনপি নিজের দলটাকে টিকিয়ে রাখার জন্য গতানুগতিক কিছু কর্মসূচি পালন করে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গাড়ি যখন বসে যায় তখন সেটির ব্যাটারি মাঝেমধ্যে স্টার্টে রাখতে হয়। বিএনপিও পুরনো গাড়ির মত বসে গেছে। বসে যাওয়াতে তারা গাড়ি স্টার্টে রাখার জন্য মাঝেমধ্যে দলটাকে স্টার্ট দেয়। সেজন্য কিছু গতানুগতিক কর্মসূচি পালন করে।

সরকার চোরাবালিতে দাঁড়িয়ে আছে বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে ড. হাছান বলেন, আমরা চোরাবালির উপর দাঁড়িয়ে আছি, এটা আমরা গত ১৫ বছর ধরে শুনতে পাচ্ছি। চোরাবালিটা এত শক্ত যে, তাদেরকে আরো বহু বছর অপেক্ষা করতে হবে।

মিয়ানমার জান্তা বাহিনীর যারা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে তারা আগামী পরশুদিন যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত কি না সাংবাদিকদের প্রশ্নে ড. হাছান বলেন, আমাদের সঙ্গে যেটি আলোচনা হয়েছে তাদের ২২ এপ্রিল নিয়ে যাওয়ার কথা। তবে সেটা অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করবে। সেখানকার পরিস্থিতি, তাদেরকে পরিবহন করে নিয়ে যাওয়া কতটুকু নিরাপদ, একই সঙ্গে সমুদ্র এবং আবহাওয়া পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে।

এর আগে ১৪তম আন্তর্জাতিক উইম্যান এসএমই এক্সপো’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. হাছান বলেন, শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশে নারীর যে ক্ষমতায়ন হয়েছে গত ১৫ বছরে সেটি পৃথিবীর সামনে একটি উদাহরণ। নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে আমাদের অবস্থান সমগ্র পৃথিবীতে পঞ্চম। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আমাদের অবস্থান দ্বিতীয়, অর্থাৎ অস্ট্রেলিয়ার পরে আমাদের অবস্থান। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও স্পিকারসহ রেকর্ড সংখ্যক নারী মন্ত্রী সভার সদস্য। এছাড়া আমাদের স্থানীয় সরকার পর্ষদে ত্রিশ ভাগ আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত। আজ থেকে ১০বছর আগেও কেউ ভাবেনি জেলার ডিসি, এসপি, উপজেলার বিপুল সংখ্যক ইউএনও নারী হবে। নারী মেজর জেনারেল হয়েছে, নারী হাইকোর্টের জাস্টিস, এফিলিয়েট ডিভিশনের জাজও হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গত ১৫ বছর যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে তার সাক্ষী আজকের চট্টগ্রাম। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এবছর আমরা বর্ষপণ্য হিসেবে ঘোষণা করেছি হস্তশিল্পকে। এসএমই এবং নারী উদ্যোক্তাদের এই বর্ষপণ্যটাকে গ্রাম থেকে শহরে, শহর থেকে সারাদেশে এবং ই-কমার্সের মাধ্যম সারা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে হবে। সেই লক্ষ্যে আমরা ‘একটি গ্রাম একটি পণ্য’ এই স্লোগানে সারা বাংলাদেশ থেকে গ্রাম পর্যায়ে যে হস্তশিল্পগুলো আছে, সেগুলোকে বাছাই করে তাদেরকে প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহযোগিতার মাধ্যমে দেশে-বিদেশে পৌঁছে দিতে চাই।  

চিটাগাং উইম্যান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলীর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন দিলোয়ারা ইউসুফ এমপি, শামীমা হারুন লুবনা এমপি, এফবিসিসিআইর সভাপতি মাহবুবুল আলম ও জাতীয় মহিলা সংস্থার সভাপতি চেমন আরা তৈয়ব।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়