মুশফিকের ব্যাটে দুর্দান্ত জয় আবাহনীর
স্পোর্টস ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আজ থেকে মাঠে গড়িয়েছে ওয়ালটন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল)। মুশফিকের ব্যাটে পারটেক্সকে ৭ উইকেটে উড়িয়ে দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছে আবাহনী লিমিটেড।
সোমবার মিরপুর শের-ই-বাংলায় বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে পারটেক্স ৫ উইকেটে ১২০ রান তোলে। বৃষ্টি আইনে আবাহনীর লক্ষ্য দাঁড়ায় ১০ ওভারে ৭০। সেই রান তাড়া করে শেষ ওভারে জিতেছে মুশফিকের দল। পেসার জয়নাল ইসলামের বল কভার দিয়ে বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে আবাহনীকে পূর্ণ ২ পয়েন্টের স্বাদ দেন মুশফিক। তিনি ২৬ বলে ৩ চার ও এক ছক্কায় ৩৮ রান করেন।
গুমোট আবহাওয়ায় টস জিতে প্রতিপক্ষকে ব্যাটিংয়ে পাঠাতে ভুল করেননি আবাহনীর অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। বোলাররা শুরুতেই দলকে সাফল্য এনে দিয়ে অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে যথার্থ প্রমাণ করেন।
দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে পেসার মেহেদী হাসান রানা তুলে নেন ওপেনার সায়েম আলম রিজভীর উইকেট। এক ওভার পর তার শিকার আরেক ওপেনার আব্বাস মুসা।
পেসার সাইফ উদ্দিনকে ইনিংসের প্রথম ওভারে মিড উইকেট দিয়ে ছক্কা উড়ান মুসা। পরবর্তীতে রানার লেংথ বল লং অফের ফিল্ডারের মাথার ওপর দিয়ে সীমানার বাইরে পাঠাতে বেশ সাহস দেখিয়েছেন তিনি।
তিনে নামা পারটেক্সের অধিনায়ক তাসামুল দলের ইনিংস মেরামত করেন। ডানহাতি ব্যাটসম্যান ৫৪ বলে ৬৫ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলে দলকে এনে দেন লড়াকু পুঁজি। মধ্যভাগে নামা সাইফুল হায়াত হৃদয় (০) ও ধীমান ঘোষ (৪) দায়িত্ব নিতে পারেননি। তবে লেট অর্ডারে নামা মঈন খান দলের চাহিদা পূরণ করেছেন ২২ রান তুলে।
আবাহনীর হয়ে বল হাতে ২টি করে উইকেট নেন রানা ও তাইজুল ইসলাম।
বৃষ্টি আইনে আবাহনীর জন্য লক্ষ্য আহামরি বড় ছিল না। তবে ইনিংসের শুরুতে দুই ওপেনারকে হারিয়ে চাপে পড়ে দলটি। ইমরান আলী ইনামের শর্ট বল পুল করতে গিয়ে ডিপ ফাইন লেগে ক্যাচ দেন ২ রান করা শান্ত। নিহাদ উদ জামানের বলে সীমানায় ধরা পড়েন নাঈম।
ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন এনে মুশফিক তিনে আসেন। ডানহাতি ব্যাটসম্যান ফিরতে পারতেন শুরুতেই। বাঁহাতি স্পিনার শাহবাজ চৌহানের ফুলার লেংথ বল তার প্যাডে আঘাত করলেও আম্পায়ারের সাড়া পায়নি পারটেক্স। পরের বল কভার দিয়ে খেলতে গিয়ে বল মিস করেন। অল্পের জন্য বোল্ড হওয়া থেকে বেঁচে যান মুশফিক। এরপর আর তাকে থামানো যায়নি।
আলী ইমরানকে লং অফ দিয়ে সীমানায় পাঠিয়ে এবং নিহাদ উদ জামানকে সুইপে ছক্কা বানিয়ে মুশফিক চাপ সরিয়ে নেন। আফিফ (২) না পারলেও মোসাদ্দেক মুশফিককে সঙ্গ দিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন। তার ব্যাট থেকে আসে ৬ রান।
- ২০২১ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সিরিজ সূচি
- ফাঁকা স্টেডিয়ামে হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ!
- এলপিএলের নিলামে পাঁচ টাইগার ক্রিকেটার, আছেন সাকিবও
- মেসি এমবাপ্পে নেইমারের গোলে পিএসজির জয়
- মাশরাফীর জ্বিন পেতে চায় তামিম
- হতাশ নেইমার, চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন
- ব্রেসলেট বিক্রির ৪২ লাখ টাকায় যেভাবে সাহায্য করবেন মাশরাফি
- ম্যাক্সওয়েল-ক্যারিতে ইংলিশদের হারালো অজিরা
- আফ্রিদির সাহায্য থেকে বাদ যায়নি মন্দিরও
- ‘ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসর’ আইপিএলের সময় আন্তর্জাতিক ম্যাচ নয়!