ঢাকা, শুক্রবার   ১৭ মে ২০২৪ ||  জ্যৈষ্ঠ ২ ১৪৩১

সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধন সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়েছে

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:৩০, ৩০ এপ্রিল ২০২৪  

সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধন সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়েছে

সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধন সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়েছে

সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধন সংখ্যা ১ লাখের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যে চাঁদাদাতাদের অর্থ হতে নিরাপদ ট্রেজারি বন্ডে ৪২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। বয়স্ক জনগোষ্ঠীকে একটি টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে ২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট সর্বজনীন পেনশন স্কিমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুরুতে প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা ও সমতা নামে চারটি স্কিম দিয়ে সর্বজনীন পেনশন স্কিম যাত্রা শুরু করে। পরবর্তী সময় সব স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানসমূহের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য প্রত্যয় স্কিম নামে নতুন স্কিম চালু করা হয়েছে, যা আগামী ১ জুলাই ২০২৪ থেকে উল্লিখিত প্রতিষ্ঠানে যোগদানকারী কর্মচারীদের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলকভাবে কার্যকর হবে।

সর্বজনীন পেনশনকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে মাঠ প্রশাসনকে সক্রিয়ভাবে যুক্ত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় কর্তৃক জাতীয়, বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ‘সর্বজনীন পেনশন কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও সমন্বয় কমিটি’ গঠন করা হয়েছে এবং মাঠ প্রশাসনকে সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের বিভাগভিত্তিক মনিটরিংয়ের দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। ফলশ্রুতিতে, কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ নিয়মিতভাবে যথাক্রমে বিভাগ, জেলা ও উপজেলাভিত্তিক নিবন্ধন মনিটরিংও বাস্তবায়ন করছেন। 

জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, বিভাগীয় পর্যায়ে সর্বজনীন পেনশন মেলা ও কর্মশালার আয়োজন করে সব শ্রেণি-পেশার জনগণকে সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে গত ১৯ এপ্রিল ২০২৪ তারিখ রাজশাহীতে বিভাগীয় পেনশন মেলা ও কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরবর্তী সময় অবশিষ্ট সাত বিভাগে বিভাগীয় মেলা অনুষ্ঠিত হবে। বিতরণের জন্য মাঠ প্রশাসনের কাছে ইতিমধ্যে পর্যাপ্তসংখ্যক ফ্লায়ার ও বুকলেট প্রেরণ করা হয়েছে এবং তা অব্যাহত আছে। এছাড়া সর্বজনীন পেনশন কার্যক্রমে ইউডিসি (ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার) উদ্যোক্তাদের সম্পৃক্ত করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসব উদ্যোগের ফলে নিবন্ধন সংখ্যার মাইলফলক ১ লাখ অর্জিত হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। ইতিমধ্যে চাঁদাদাতাদের অর্থ হতে নিরাপদ ট্রেজারি বন্ডে ৪২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। সর্বজনীন পেনশন কার্যক্রমের নিবন্ধন থেকে শুরু করে মাসিক জমা, হিসাবায়ন, নিবন্ধকারী কর্তৃক তার কর্পাস হিসাব যাচাই ইত্যাদি সব প্রক্রিয়া ডিজিটাল আইটি প্ল্যাটফরমে সম্পাদিত হচ্ছে।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়