আগামী ডিসেম্বরে উৎপাদনে আসছে মাতারবাড়ি তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র
নিউজ ডেস্ক
আগামী ডিসেম্বরে উৎপাদনে আসছে মাতারবাড়ি তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র
আগামী ডিসেম্বরে উৎপাদনে আসছে মাতারবাড়ি তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট। সময়মতো উৎপাদন শুরু হলে ২০২৪ সালের জুনে দ্বিতীয় ইউনিট চালু হবে। তখন দুই ইউনিট থেকে পাওয়া যাবে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।
সরকারের নীতিনির্ধারকদের মতে, মাতারবাড়ি বন্দরের কারণে এ কেন্দ্রে কয়লা নিয়ে সংকট হবে না। পায়রা-রামপালের মতো সঞ্চালন লাইন নিয়েও কোনো জটিলতা নেই। কয়লার বর্তমান দাম অনুযায়ী এখানকার প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের মূল্য পড়বে ১৬-১৭ টাকা।
এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের পুরো এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কক্সবাজারের মহেশখালীতে এই তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি প্রস্তুতের বিরামহীন কাজ চলছে। ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার প্রথম ইউনিটের ৯০ শতাংশের মতো কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। তৈরি করা হয়েছে ২৭৫ মিটার উঁচু চিমনিও। এখন ব্রয়লার-টারবাইন ও জেনারেটরসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজ চলমান রয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানায়, দুই ইউনিট চালাতে দৈনিক কয়লা লাগবে ১৩ হাজার টনের বেশি। আমদানি করা সেই জ্বালানি খালাসে তৈরি হয়েছে জেটি। ৮০ হাজার টন কয়লা নিয়ে ভিড়বে মাদার ভেসেল। সেজন্য খনন করা হয়েছে ১৪ কিলোমিটার লম্বা চ্যানেল। সেখানে করা বিশাল আকৃতির সাইলোগুলোতে মজুদ রাখা হবে দুই মাসের কয়লা।
আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির এ বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নির্মাণ সহযোগী জাপানি সংস্থা জাইকা। ৫১ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান কোল-পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি। গভীর সমুদ্র বন্দর, লোড-আনলোড জেটি, সংযোগ সড়ক, টাউন-শিপ ও চারপাশে বাঁধ তৈরি করায় পায়রা ও রামপালের তুলনায় খরচ বেশি বলে জানায় বিদ্যুৎ বিভাগ।
এসব নিয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, আগামী ডিসেম্বর-জানুয়ারির মধ্যে প্রথম ইউনিট চালু হবে। এ পাওয়ার প্ল্যান্টটি আল্ট্রা-সুপার পাওয়ার ক্রিটিক্যাল পাওয়ার প্ল্যান্ট। এখানে কোল একদম সামলোর পর্যায়ে থাকবে এবং কোল ডাস্ট দেখাই যাবে না।
তিনি আরও বলেন, এটা বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ডিপ সী এনার্জি পোর্ট হিসেবে তৈরি হচ্ছে। যেটার সাথে ইন্টিগ্রেটেড থাকবে অন্য পোর্ট। যেমন কনটেইনার সার্ভিস পোর্টও থাকবে। পুরো পোর্ট ধরলে এখনও আমরা সহনীয় পর্যায়ে আছি। এটাতে আমাদের প্রজেক্ট ব্যায় প্রায় ৫১ হাজার কোটি টাকা।
উল্লেখ্য, ১৬ হাজার একর জমিতে বাস্তবায়িত হচ্ছে এ বিদ্যুৎ প্রকল্প। এখানে আরও একটি ১২০০ মেগাওয়াটের কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কথা থাকলেও তা হবে না। দ্বিতীয় ধাপে এখানেই এলএনজিভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরির পরিকল্পনা করছে সরকার।
- PM opens Southeast Asia`s largest fertiliser factory in Narsingdi
- Tk 12,500 announced as minimum wage for RMG workers
- PM vows to make leprosy free Bangladesh by 2030
- Bangladesh joins `50-in-5` campaign as first-mover country to implement DPI
- রাজধানীতে আজ চালু হলো ১০টি ইউটার্ন
- কৃষিপণ্য কেনাবেচার অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘ফুড ফর ন্যাশন’ উদ্বোধন করে
- বঙ্গবন্ধুর সাথে ছোট বেলার স্মরণীয় মধুর স্মৃতি
- আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলাঃ রাষ্ট্র বনাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
- ২৫তম পর্ব: কর্ডন প্রথার বিরুদ্ধে লড়াই
- প্রতিমন্ত্রী জানালেন বাড়তি বিদ্যুত বিল এলে যা করবেন