একরকম ফাঁকা পড়ে আছে বক্ষব্যাধির করোনা ইউনিট
নিউজ ডেস্ক
ফাইল ছবি
সাতদিন আগে রাজধানীর মহাখালীর জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ১১৪ শয্যার করোনা ইউনিট উদ্বোধন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত এই ইউনিটে মাত্র সাতজন করোনা রোগী ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে ১০ শয্যার আইসিইউ ফাঁকা পড়ে রয়েছে। রোগী না পেয়ে অলস সময় কাটাচ্ছেন হাসপাতালটির চিকিৎসক এবং নার্সরা।
জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, গত ২৮ এপ্রিল দুপুর ১২টায় এই ইউনিটের উদ্বোধন করার কথা ছিল। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে বিকেল ৩টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই করোনা ইউনিট উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের উপস্থিতি তেমন ছিল না। তাই এই করোনা ইউনিটে চিকিৎসাসেবা সম্পর্কে মানুষ জানতে পারেনি। এখন কীভাবে হাসপাতালটি প্রচারণা করা যায় সে বিষয়ে ভাবছে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে গতকাল সোমবার (৩ এপ্রিল) ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে এক অনুষ্ঠানে বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের এই করোনা ইউনিটে রোগী সংকটের চিত্র সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক এ বি এম খুরশিদ আলম।
তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি মহাখালী বক্ষব্যাধি হাসপাতালে করোনা ইউনিট চালু করা হয়েছে। সেখানে ১০টি আইসিইউসহ ১১৪টি শয্যা রয়েছে। তবে প্রচারণার অভাবে গত ২ মে পর্যন্ত ওই হাসপাতলে কোনো রোগী ভর্তি হয়নি।’ এই করোনা ইউনিটের প্রচারণার জন্য গণমাধ্যমের সহযোগিতা চান তিনি।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সংশ্লিষ্টরা জানান, গত মাসে দেশে করোনা সংক্রমণের হার অনেক বেশি ছিল। তাই স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশে এই ১১৪ শয্যার ইউনিট চালু করা হয়। এর মধ্যে ১০টি আইসিইউ শয্যাও স্থাপন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ মে) সরেজমিনে দেখা যায়, জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের জাতীয় অ্যাজমা সেন্টারের তৃতীয় এবং চতুর্থ তলায় এই ইউনিট প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে তৃতীয় তলায় ১০টি আইসিইউ শয্যা রয়েছে। চতুর্থ তলায় পৃথক সাতটি বড় কক্ষে ১৪০টি সাধারণ শয্যা। এসব শয্যায় সেন্ট্রাল অক্সিজেনের ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু রোগী না থাকায় চিকিৎসক এবং নার্সদের অলস সময় কাটাতে দেখা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক বলেন, ‘প্রচার-প্রচারণার অভাবে করোনা ইউনিটে রোগী আসছে না। অথচ অন্যান্য হাসপাতালে রোগী ভর্তি করারও সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে না।’
জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. সাইদুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ১৭ জন রোগী এখানে চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে ভর্তি আছেন সাতজন। এর মধ্যে একজনের আইসিইউ সাপোর্ট দরকার হয়েছিল। এখন করোনা সংক্রমণ কমতে শুরু করেছে। তাই হাসপাতালে রোগীর চাপ কম। তবে চিকিৎসা দিতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি।’
- PM opens Southeast Asia`s largest fertiliser factory in Narsingdi
- Tk 12,500 announced as minimum wage for RMG workers
- PM vows to make leprosy free Bangladesh by 2030
- Bangladesh joins `50-in-5` campaign as first-mover country to implement DPI
- রাজধানীতে আজ চালু হলো ১০টি ইউটার্ন
- কৃষিপণ্য কেনাবেচার অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘ফুড ফর ন্যাশন’ উদ্বোধন করে
- বঙ্গবন্ধুর সাথে ছোট বেলার স্মরণীয় মধুর স্মৃতি
- আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলাঃ রাষ্ট্র বনাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
- ২৫তম পর্ব: কর্ডন প্রথার বিরুদ্ধে লড়াই
- প্রতিমন্ত্রী জানালেন বাড়তি বিদ্যুত বিল এলে যা করবেন