ভারত থেকে সরাসরি পরিশোধিত ডিজেল আসছে এ বছরই
নিউজ ডেস্ক
ভারত থেকে সরাসরি পরিশোধিত ডিজেল আসছে এ বছরই
তেলের জন্য হাহাকার চলছে বিশ্বজুড়ে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারনে উচ্চ দামে জ্বালানি তেল কিনতে হচ্ছে বিশ্বের সকল দেশকে। এই অবস্থায় আমাদের দেশের তেলের বাজারে সুসময় আসছে বলে আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা। যার কারণ ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন দিয়ে ভারত থেকে সরাসরি পরিশোধিত ডিজেল আসবে দিনাজপুরের পাবর্তীপুরে। আর আশা করা হচ্ছে এতেই পূরণ করা যাবে উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলার মানুষের তেলের চাহিদা।
বর্তমানে আমদানিজাত তেল পাবর্তীপুর ডিপোতে পৌঁছাতে সময় লাগে প্রায় এক মাস, অথচ ভারত থেকে এই ডিপোতে তেল আসতে মাত্র কয়েক ঘণ্টা সময় লাগবে। এতে কমে যাবে পরিবহন ব্যয়। পাইপলাইনের মোট দৈর্ঘ্য ১৩১.৫ কিলোমিটার। এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে ১৩০ কিলোমিটার পাইপলাইনের কাজ। পাঁচটি এসভি (সেকশনলাইজিং ভালভ স্টেশন) কাজও সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিটি এসভি স্টেশনের মধ্যে দূরত্ব ৩০ কিলোমিটার। বাকী কাজ এ মাসেই শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। সব কিছু ঠিক থাকলে এবছরই ভারতের তেল এসে পৌঁছবে পার্বতীপুর ডিপোতে।
প্রকল্প পরিচালক টিপু সুলতান জানান, পার্বতীপুর ডিপোর বর্তমান ধারণ ক্ষমতা ১৫ হাজার টন। যা ৪৩ হাজার ৮০০ টনে উন্নীত করা কাজ চলছে। এজন্য শিলিগুড়ি মার্কেটিং টার্মিনাল থেকে পার্বতীপুর পর্যন্ত ১৩০ কিলোমিটার পাইপলাইনের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৫২০ কোটি টাকা। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা আরো জানান, এই পাইপলাইনের বাংলাদেশ অংশে রয়েছে ১২৬ কিলোমিটার এবং ভারতে রয়েছে ৫ কিলোমিটার। যার জন্য পঞ্চগড়, নীলফামারী ও দিনাজপুর জেলায় ১৯৯ দশমিক ৩৪ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া প্রকল্প এলাকায় সীমানা দেয়াল নির্মাণের কাজও প্রায় শেষ।
প্রাথমিকভাবে আড়াই লাখ টনের মতো ডিজেল আমদানি করার লক্ষমাত্রা রয়েছে এবং পরের বছরগুলোতে তা ৪ থেকে ৫ লাখ টন পর্যন্ত বাড়ানো হবে। চুক্তির অধীনে সরবরাহ শুরুর দিন থেকে ১৫ বছরের জন্য ভারত থেকে ডিজেল কিনবে বাংলাদেশ। ২০১৭ সাল থেকে বিপিসি পশ্চিমবঙ্গ রেলওয়ের মাধ্যমে প্রতি মাসে প্রায় ২ হাজার ২০০ টন ডিজেল আমদানি করে লুমানিগড় রিফাইনারি লিমিটেড থেকে।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন- বিপিসি এর সূত্রমতে, এই পাইপলাইনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাজার দরেই ডিজেল আনা হবে। বর্তমানে জ্বালানি তেল আনার ক্ষেত্রে প্রতি ব্যারেলে (১৫৯ লিটার) গড়ে ১০ ডলার প্রিমিয়াম (জাহাজভাড়াসহ অন্য খরচ) দিতে হয় বিপিসিকে। তবে ভারত থেকে আনার ক্ষেত্রে এটি আট ডলার হতে পারে। প্রতি ব্যারেলে দুই ডলার কমলে প্রতি এক লাখ টনে প্রায় ১৫ লাখ ডলার সাশ্রয় করা সম্ভব। যেহেতু ভারত থেকে আমদানি হলে ঐ অঞ্চলের মানুষজন অল্প সময়েই তেল পাবে এবং বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে। তাই এই প্রকল্প বাংলাদেশের জন্য লাভজনক বলেই তারা মনে করছেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই পাইপলাইনের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। এরপর ২০২০ সালের মার্চ মাসে শুরু হয় এর নির্মাণকাজ। এই প্রকল্পটি যৌথভাবে বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশের মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড এবং ভারতের লুমানিগড় রিফাইনারি লিমিটেড (এনআরএল)।
- PM opens Southeast Asia`s largest fertiliser factory in Narsingdi
- Tk 12,500 announced as minimum wage for RMG workers
- PM vows to make leprosy free Bangladesh by 2030
- Bangladesh joins `50-in-5` campaign as first-mover country to implement DPI
- রাজধানীতে আজ চালু হলো ১০টি ইউটার্ন
- কৃষিপণ্য কেনাবেচার অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘ফুড ফর ন্যাশন’ উদ্বোধন করে
- বঙ্গবন্ধুর সাথে ছোট বেলার স্মরণীয় মধুর স্মৃতি
- আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলাঃ রাষ্ট্র বনাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
- ২৫তম পর্ব: কর্ডন প্রথার বিরুদ্ধে লড়াই
- প্রতিমন্ত্রী জানালেন বাড়তি বিদ্যুত বিল এলে যা করবেন