ফটোসাংবাদিক কাজলের বিরুদ্ধে আরেক মামলায় চার্জশিট
নিউজ ডেস্ক
ফাইল ছবি
কামরাঙ্গীরচর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা আরেক মামলায় ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ। গত ১৪ মার্চ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ রাসেল মোল্লা এ অভিযোগ পত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন।
অভিযোগপত্রে মোট নয়জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। সোমবার আদালতের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগপত্রে বলেন, ‘যুব মহিলা লীগের নরসিংদী জেলার সাধারণ সম্পাদক শামিমা নূর পাপিয়া বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত হলে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ বিষয়টি জানার পর সঙ্গে সঙ্গে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এরপর আসামি শফিকুল ইসলাম কাজল তার ফেসবুক আইডি থেকে অসত্য তথ্য প্রচার করতে থাকেন। অনলাইন মাধ্যম থেকে এসব অসত্য তথ্য দিয়ে খবর প্রচার করেন আসামি কাজল।’
অভিযোগপত্রে আরো বলা হয়, ‘বাদীকে পাপিয়ার সঙ্গে জড়িয়ে যৌন সম্রাজ্ঞী হিসেবে মিথ্যা তথ্যের মাধ্যমে তীর চিহ্ন দিয়ে শনাক্ত করেন। পাশাপাশি বাদীকে নারী ব্যবসা ও মাদক ব্যবসায় পাপিয়ার অন্যতম সহযোগী হিসেবে অপমানকর মিথ্যা তথ্য ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয় কাজল। আসামি ফেসবুক অ্যাকাউন্টে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও বিভিন্ন এমপি-মন্ত্রীসহ বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তার ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপিকা অপু উকিলসহ যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মিথ্যা ও মানহানিকর তথ্য আপলোড করেন। আসামির আসল উদ্দেশ্য ফেসবুকে এসব তথ্য আপলোড করে নেতাকর্মীদের ভাবমূর্তি নষ্ট করা ও চাঁদাবাজি করা। বাদীর স্বামী আসাদুজ্জামান নাহিদের সঙ্গে বাদীর ছবি থাকায় তাকে নিয়ে অশালীনভাবে মানহানিকর আপত্তিকর তথ্য আপলোড করে আসামি।’
এ ঘটনায় বাদী সুমাইয়া চৌধুরী বন্যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কামরাঙ্গীরচর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
এর আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি হাজারীবাগ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় কাজলের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
গত বছরের ১০ মার্চ বকশিবাজারের বাসা থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন কাজল। পরদিন কাজলের স্ত্রী জুলিয়া ফেরদৌসী চকবাজার থানায় গিয়ে একটি জিডি করেন। ১৮ মার্চ কাজলের সন্ধান চেয়ে চেয়ে চকবাজার থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি অপহরণ মামলা করেন তাদের ছেলে মনোরম পলক। প্রায় দুই মাস পর গত বছরের ২ মে যশোরের বেনাপোল সীমান্ত থেকে কাজলকে গ্রেফতারের কথা জানায় বিজিবি। তার বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগ আনা হয়।
যশোর থেকে ঢাকায় আনার পর গত বছরের ২৩ জুন কাজলকে শেরেবাংলা নগর থানার মামলায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তাকে দেখানো হয়। পরে হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানার মামলাতেও কাজলকে গ্রেফতার দেখানো হয়। পুলিশ তাকে রিমান্ডে নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করে।
গত বছরের ২৪ আগস্ট ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত কাজলের জামিন আবেদন নাকচ করলে তিনি ৮ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে আবেদন করেন।
সেই আবেদনে গত ২৪ নভেম্বর এবং এরপর ১২ ডিসেম্বর তিন মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পান কাজল। সাত মাস কারাগারে থাকার পর ২৫ ডিসেম্বর জামিনে মুক্তি পান কাজল।
- কর্নেল (অবঃ) শহীদ উদ্দিন খানের যত অপকর্ম
- দুর্নীতিবাজ (অবঃ) কর্নেল শহীদকে সাধু বানানোর চেষ্টা কনক সারোয়ারের
- স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন আদায় স্থগিত চেয়ে রিট
- হাইকোর্টে স্থায়ী নিয়োগ পেলেন ১৮ বিচারপতি
- ভার্চুয়াল আদালতে শুনানিতে হাইকোর্টে তিন বেঞ্চ গঠন
- মুক্তি পেলেন ১৭০ কারাবন্দী
- আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসিত বাংলাদেশের শিশু আদালত
- সব জেলায় পিসিআর ল্যাব স্থাপনে রিট
- জনসমাগম দেখে মনে হয় না দেশে মহামারি আছে: হাইকোর্ট
- জঙ্গি সালেহীনের ফাঁসি বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ