ঢাকা, শনিবার   ০৪ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২১ ১৪৩১

উন্নয়নের মহাকাব্য আখাউড়া রেলস্টেশন

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:৫৭, ১৮ জুলাই ২০২৩  

উন্নয়নের মহাকাব্য আখাউড়া রেলস্টেশন

উন্নয়নের মহাকাব্য আখাউড়া রেলস্টেশন

দেশের পূর্বাঞ্চল রেলপথের অন্যতম রেলওয়ে জংশন হলো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া। স্টেশনকে ঘিরে যেন উন্নয়নের মহাকাব্য রচিত হচ্ছে। দিন দিন বদলে যাচ্ছে এই রেলওয়ে জংশনের দৃশ্যপট।

উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের মধ্যে রয়েছে- স্টেশন ভবনের আধুনিকায়ন, নতুন একাধিক প্লাটফর্ম নির্মাণ, রেল ট্র্যাক স্থাপন, আধুনিক সংকেত (সিগন্যাল) ব্যবস্থা, ওয়াশফিড, ইয়ার্ড, কেবিন, বৈদ্যুতিক গুদামসহ নানা বিভাগের উন্নয়নমূলক কাজ। তবে বেশিরভাগ কাজই প্রায় শেষ হতে চলেছে।

এ জংশন স্টেশনে প্রায় ২২টি আন্তঃনগরসহ সব মেইল ও লোকাল ট্রেনের যাত্রা বিরতি রয়েছে। প্রতিদিন ঐসব ট্রেন দিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় হাজার হাজার যাত্রী ভ্রমণ করছেন।

এদিকে আখাউড়া-লাকসাম ডাবল ডুয়েল গেজ রেলপথ নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। আগামী ২০ জুলাই রেলপথ উদ্বোধনের কথা রয়েছে। তাছাড়া আন্তঃদেশীয় বাণিজ্যের দ্বার উন্মোচিত করার লক্ষ্যে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ নির্মাণ কাজ ও চলছে সমানতালে। ফলে ঐসব কাজে বদলে যাচ্ছে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনের চেহারা।

আখাউড়া রেলস্টেশন সূত্রে জানা গেছে, আখাউড়া-লাকসাম ডুয়েল গেজ নির্মাণ ও রেলওয়ে স্টেশন উন্নয়ন প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন এবং বাংলাদেশের তমা কনস্ট্রাকশন ও ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার যৌথভাবে এই প্রকল্পের কাজ করে। ৭২ কিলোমিটার ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন ও রেলওয়ে স্টেশনের উন্নয়ন কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালে। তবে এ স্টেশনের কাজ শেষ হতে আরো কয়েকমাস সময় লাগবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আখাউড়া-লাকসাম রেলপথের প্রতিটি রেলস্টেশন আধুনিকায়ন করার  অংশ হিসেবে আখাউড়া রেলস্টেশন আধুনিকায়নে নতুন প্লাটফর্ম, ওয়াশফিড, ইয়ার্ড, কেবিন, বৈদ্যুতিক গুদাম, ভবনসহ নানা প্রকারের উন্নয়নের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। তবে স্টেশনের বেশিরভাগ কাজই প্রায় শেষ হতে চলেছে।

এ স্টেশনে বসছে ১৭টি রেল ট্র্যাক/লাইন, যাত্রী পারাপারের জন্য দৃষ্টিনন্দন বিশাল একটি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। এর দৈঘ্য প্রায় ১৯০ ফুট এবং উচ্চতা ৩০ ফুট। প্রায় ৫০ ফুট লম্বা সিঁড়ি হেঁটে যাত্রীদেরকে ওভার ব্রিজে উঠতে হবে। স্টেশনের সব কিছুই যেন আধুনিকায়নের ফলে বদলে যাচ্ছে এর দৃশ্যপট। স্থানীয়দের পাশাপাশি দূরদূরান্তের লোকজন স্টেশনের অবকাঠামো উন্নয়ন দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন।

রেলওয়ের সংশ্লিষ্টরা জানান, রেলপথে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের খরচ কম। তাছাড়া অন্য সব পরিবহনের তুলনায় ট্রেন অনেক নিরাপদ এবং পরিবেশবান্ধব। আখাউড়া-লাকসাম ডাবল লাইন চালু হলেই সিগন্যালের কোনো বাধা ছাড়াই ট্রেন চলতে পারবে। আগের চেয়ে অনেক সময় কমে যাবে।

ট্রেনযাত্রী আলমগীর হোসেন বলেন, রেললাইন, ট্রেন, স্টেশনের অবকাঠামো উন্নয়ন সত্যি খুবই ভালো লাগছে। বর্তমান সরকারের সাহসী পদক্ষেপ কারণে এসব সম্ভব হয়েছে।

আসাদুল ইসলাম নামে এক প্রবাসী বলেন, গত ৫ বছর আগে বিদেশে গিয়েছিলাম। গত ১০ দিন আগে দেশে এসেছি। ঢাকা থেকে ট্রেনযোগে আখাউড়ায় এসে সবকিছু পরিবর্তন লাগছে। কোনো কিছু চেনা যাচ্ছে না। উন্নয়নে স্টেশনসহ আশপাশের সবকিছু বদলে যাওয়ায় খুবই ভালো লাগছে।

আখাউড়া রেলস্টেশন সুপার নুরুন্নবী ভূইয়া বলেন, আখাউড়া-লাকসাম ডাবল রেলপথ নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। স্টেশনের বিভিন্ন বিভাগের কাজ চলমান রয়েছে। ঐসব কাজ দ্রুত গতিতে করা হচ্ছে।

প্রকল্প পরিচালক সুভক্ত গীন বলেন, আখাউড়া-লাকসাম পর্যন্ত ৭২ কিলোমিটার ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন কাজ শুরু হয়েছে ২০১৬ সালে। কাজ শেষ হওয়ায় ২০ জুলাই এ রেলপথ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।

আরও পড়ুন
সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়