ঢাকা, সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

তারেক রহমানের বিলাসী জীবনের আর্থিক উৎস খুঁজছে লন্ডন পুলিশ

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:৩৪, ১২ মার্চ ২০২৪  

তারেক রহমান

তারেক রহমান

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ড তারেক রহমান দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে লন্ডনে অবস্থান করছেন। পলাতক হলেও সেখানে আয়েশি জীবনযাপন করছেন তারেক। কর্মহীন এই বিএনপি নেতার নিজস্ব উপার্জন না থাকলেও পরিবার নিয়ে সেখানে তার চোখ-ধাঁধানো বিলাসী জীবন যে কাউকে ভাবতে বাধ্য করবে। এই অর্থের উৎস কোথায়? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে মাঠে নেমেছে ইউকে পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থাও।

অনুসন্ধান বলছে, দেশ থেকে বিপুল অঙ্কের অর্থ পাচার হচ্ছে তারেকের কাছে। বিশেষ করে সিলেট থেকেই যাচ্ছে বেশির ভাগ অর্থ। এ ছাড়া লন্ডনে অবস্থানরত সিলেটি রেস্টুরেন্টসহ বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ী থেকেও পাচ্ছেন টাকা। লন্ডনে পলাতক সাজাপ্রাপ্ত অপরাধী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের অর্থ সরবরাহকারীদের বিরুদ্ধে তদন্তে নামছে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন সংস্থা। বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট, দুর্নীতি দমন কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা আলাদাভাবে এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করছে। পাশাপাশি লন্ডনের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরও কাছে সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। তারাও সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।

জানা গেছে, ইতোমধ্যে তারা তারেক রহমানের বিলাসী জীবনযাপনের খোঁজ খবর নেওয়া শুরু করেছে।

এদিকে বাংলাদেশ গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, এর মধ্যে লন্ডনে বাঙালি রেস্টুরেন্টের মালিক ও বাংলাদেশে অবস্থান করা তাদের আত্মীয়-স্বজনের বিষয়ে বিশেষভাবে তদন্ত করা হবে। তদন্তে তারেক রহমানকে অর্থ সরবরাহের কোনো প্রমাণ পাওয়া গেলে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাংক হিসাব দ্রুত তলব এবং জব্দ করা হবে বলে জানা গেছে। গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যানুযায়ী, লন্ডনে বিভিন্ন বাঙালি রেস্টুরেন্টের মালিকরা তারেক রহমানকে অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করছেন। তাদের মধ্যে বেশিসংখ্যক ব্যবসায়ীর বাড়ি আবার সিলেটে। সিলেটি এসব ব্যবসায়ী ও তাদের আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে টাকা পাচার হয়ে পৌঁছে যাচ্ছে লন্ডনে তারেক রহমানের কাছে।

বিভিন্ন সংস্থার একাধিক তদন্ত কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘তারেক রহমান আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। তাঁর অর্থের জোগানদাতা ও পাচারকারীদের পুরো চেইন নিয়ে এবার আমরা কাজ করব। দেশে ও বিদেশে বসে যারা টাকা পাচার করছেন ও তারেক রহমানকে টাকা দিচ্ছেন, পুরো চক্রকেই এবার আইনের আওতায় আনা হবে।’

তারা বলেন, ‘আমরা সিলেটভিত্তিক লন্ডনে রেস্টুরেন্ট ও অন্য ব্যবসায়ীদের নথিপত্র হাতে নিয়ে কাজ শুরু করব। বাংলাদেশে অবস্থান করা তাদের আত্মীয়-স্বজনও নজরদারিতে থাকবেন। কারণ বাংলাদেশ থেকে যারা তারেক রহমানকে টাকা পাঠান তারা ওই সব ব্যবসায়ীর বাংলাদেশে অবস্থান করা আত্মীয়-স্বজনের কাছে টাকা পৌঁছে দেন। পরে সেই টাকা হয় লন্ডন থেকে ওই ব্যবসায়ী তারেক রহমানকে দিয়ে দেন, নতুবা কৌশলে দেশ থেকে পাচার করেন তারা। দ্রুতই তারেক রহমানের অবৈধ অর্থের জোগানদাতাদের পুরো চেইন উন্মোচন হবে ও জড়িতদের ব্যাংক হিসাব জব্দসহ আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।’

সর্বশেষ
জনপ্রিয়