ঢাকা, সোমবার   ০৬ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২২ ১৪৩১

ময়মনসিংহ জেলার ভালুকায় ঘরে বসইে ডিজিটাল ভূমি সেবা

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৭:০৯, ১৫ জুলাই ২০২৩  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ঘরে বসেই পাওয়া যাচ্ছে এখন ভূমি বিষয়ক নানা সেবা ও তথ্য। মানুষের হয়রানি ও ভোগান্তি বন্ধে এবং এ-সংক্রান্ত সেবা সহজলভ্য করতে উন্নত বিশ্বের ন্যায় ভূমিসেবা ডিজিটালাইজড করেছে সরকার। এখন এক ঠিকানায় (LAND.GOV.BD) ভূমিসংক্রান্ত প্রায় সব সেবা।

ময়মনসিংহের ভালুকায় ডিজিটাল ভূমি সেবা পাচ্ছেন স্থানীয়রা। হয়রানি ছাড়াই শতভাগ ভূমি উন্নয়ন কর আদায় হচ্ছে অনলাইনে। এ ছাড়া নামজারির গড় নিষ্পত্তির সময়সীমা কমে এসেছে পনের থেকে বিশ দিনে। এতে ভোগান্তি ও হয়রানির পাশাপাশি কমেছে দালালদের দৌরাত্ম্য। 

এক সময় ভূমিসেবা নিতে গিয়ে ভোগান্তির যেন শেষ ছিল না। এখন অনলাইনে দেওয়া যাচ্ছে ভূমি উন্নয়ন কর, ই-নামজারি, করণিক ভুল সংশোধন, সূচি সংশোধন, মিসকেস নিষ্পত্তি সবই এখন অতীতের তুলনায় অনেক কম সময়ে হচ্ছে। ফলে দালাল ও মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

ভূমিসেবার জন্য রয়েছে সার্বক্ষণিক কল সেন্টার (১৬১২২)। এসব উদ্যোগের মাধ্যমে দুর্নীতি ও ভোগান্তি এখন অনেকটাই কমেছে। এর স্বীকৃতিও পেয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়। অনলাইন ভূমি উন্নয়ন কর বাস্তবায়নের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘ওয়ার্ল্ড সামিট অন দ্য ইনফরমেশন সোসাইটি (ডব্লিউএসআইএস)’ পুরস্কার জিতেছে সরকারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এ মন্ত্রণালয়। 

সূত্র জানায়, সেবাগ্রহীতারা কোনোপ্রকার হয়রানি ছাড়াই মোবাইল ফোনে এসএমএস প্রাপ্তি, ফ্রন্ট ডেস্কে তথ্য সহায়তা ছাড়াও অনলাইনে সব আপডেট জানতে পারছেন। এতে তাদের সময় এবং অর্থ সাশ্রয় হচ্ছে আবার ঝামেলা কিংবা জটিলতা দূর হয়েছে।

উপজেলা ভূমি অফিস কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি অর্থবছর ভালুকা উপজেলা ভূমি অফিসে পাঁচ কোটি উনাশি লক্ষ বিশ হাজার নয়শত পঁচানব্বই টাকা ভূমি উন্নয়ন কর অনলাইনে আদায়, আট হাজার চারশত চারটি নামজারি নিষ্পত্তি, সাতশত তিরাশিটি মিসকেস করা হয়েছে। আর নামজারির গড় ১৫ থেকে ২০ দিনে নেমে এসেছে।  

অনলাইনে ডিসিআর ফি জমা দিতে আসা জাহানারা বেগম নামের এক নারী বলেন, নামজারির আবেদন করার ১৭ দিনের মাথায় আমার ফোনে নামজারি মঞ্জুর ও ডিসিআর ফি জমা দেওয়ার বার্তা আসে। দ্রুত সময়ে কোনো প্রকার তদবির ও ঘুষবিহীন এমন সেবা পেয়ে আমি অবাক হয়েছি। ভূমি অফিসের সবাইকে আমি ধন্যবাদ জানাই।  

ভালুকা উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার (ভূমি) সোমাইয়া আক্তার জানান, ডিজিটাল ভূমি উন্নয়ন ব্যবস্থা বাস্তবায়নে অনলাইন পদ্ধতিতে সেবা প্রদানের মাধ্যমে গ্রাহক হয়রানি কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। এর মাধ্যমে জনগণ কম সময়ে সঠিকভাবে সেবা পাচ্ছে এবং সরকারেরও রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, আমি আসার পর ৪ হাজার নামজারি দিয়েছি। একজন সাধারণ মানুষ যখন ভূমিসেবা নিয়ে হাসিমুখে বিদায় নেয় তখন এক ধরনের ভালো লাগা কাজ করে। আমি চেষ্টা করছি দিন দিন আমার কাজের গতি আরও বাড়াতে। অফিসের সহকর্মীদের গুড টিমওয়ার্কের ফলে দ্রুত কাজ করা সম্ভব হচ্ছে। 

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজার রহমান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনন্য এক উদ্যোগ ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনা। এর সুফল এখন গোটা দেশবাসী পাচ্ছে। ভূমি ব্যবস্থাপনা ডিজিটাল হওয়ায় জমিসংক্রান্ত বিরোধ কমার পাশাপাশি জমির প্রকৃত মালিকের ন্যায্যতা নিশ্চিত করা সহজ হয়েছে। আগামীতে ই-ভূমি রেজিস্ট্রি ও স্যাটেলাইটের সহায়তায় ভূমি জরিপ করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তখন সবার ল্যান্ড উনারশীপ কার্ড থাকবে। ওই কার্ডের মাধ্যমে জমি সংক্রান্ত সব তথ্য পাওয়া যাবে।

আরও পড়ুন
সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়